Anubrata Mondal News: ‘মূল অভিযুক্ত…জামিন দেওয়া উচিত নয়’, অনুব্রত মামলায় নয়া মোড় সুপ্রিম কোর্টে – anubrata mondal bail application in supreme supreme court


গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। একসময় তিনিই ছিলেন বীরভূম তৃণমূলের ‘শেষ কথা’। তবে দীর্ঘদিন গোরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনাগারে রয়েছেন। তিনি জামিনের আবেদন জানিয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলা পিছিয়েছিল।

সোমবার শীর্ষ আদালতে অনুব্রতর জামিনের আর্জির তীব্র বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু। তিনি বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলই মূল অভিযুক্ত। জামিন পেলে সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করবেন। কোনওভাবেই ওঁকে জামিন দেওয়া উচিত নয়।’ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিম্ন আদালতে শুরু করতে হবে অনুব্রত মণ্ডলের ট্রায়াল, নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।

উল্লেখ্য, এর আগের শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী মুকুল রোহতগী জানিয়েছিলেন, মামলায় মূল অভিযুক্ত যাকে CBI-এর তরফে কিংপিং হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল সেই এনামুল হক ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে, সতীশ কুমারও জামিন পেয়েছেন। ১৭ মাস ধরে সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর জামিনে জন্য আবেদন করেছিলেন।

গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। CBI-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁকে হেফাজতে নেয় ED।

দোলের সময় তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন ED হেফাজতে থাকার পর আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তাঁকে তিহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই বিচারাধীন বন্দি তিনি। শুধু অনুব্রত মণ্ডল নয়, আপাতত সংশোধনাগারে রয়েছেন তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর তাঁর মেয়েকেও একাধিকবার তলব করে ED। এরপর হাজিরা দিতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন সুকন্যা।

Anubrata Mondal: নথি দিচ্ছে না ইডি, কোর্টে দাবি কেষ্টর
সুকন্যা মণ্ডল দিল্লিতে ED দফতরে হাজিরা দিতে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তিনিও তিহাড় জেলেই রয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল। এজেন্সি রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় একটি সভা থেকে বলেছিলেন, ‘কেষ্টরা জেল থেকে বেরোনোর সময় বীরের সম্মান দিয়ে ওদের আনা হবে।’ পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে দল কোনও কড়া অবস্থান নেয়নি। এখনও বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি পদে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *