BJP Helpline Number : রাম মন্দির উদ্বোধনী কর্মসূচিতে বাধা দিলেই আইনি সাহায্য, হেল্পলাইন নম্বর চালু বিজেপির – bjp introduced helpline number for any problem regarding ram mandir inauguration ceremony


রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মেতেছে গোটা দেশ। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাম মন্দির ইস্যুকে আঁকড়ে ধরে জন সংযোগে ব্যস্ত বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। এবার রাম মন্দির নিয়ে বাংলায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নতুন উদ্যম নিল বঙ্গ বিজেপি। চালু হল একটি হেল্পলাইন নম্বর। রবিবার থেকেই এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।

রবিবার বঙ্গ বিজেপির তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়। নম্বরটি হল ৭৬০৫০-২৬১১৫। রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে বাংলায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই এই নম্বরে ফোন করলে মিলবে যে কোনওরকম সহায়তা বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। কোনও অশান্তি, বাধা প্রদান দেখলেই এই নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

এর আগে একাধিক জায়গায় রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য মিছিল বাধা প্রদান করা হয়েছে বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি নিশানা করেছেন রাজ্য সরকারের দিকে। এদিকে, সোমবার দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন মঠ, মন্দির, আশ্রম, মহল্লায় ও ক্লাবে রামপুজো ও প্রদীপ জ্বালানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান করা হলেই এই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। সেই ব্যক্তিকে আইনি সাহায্য করার জন্য বিজেপির তরফে সাহায্য করা হবে।

BJP West Bengal : পুলিশের অনুমতি না মেলায় বিজেপির সঙ্গীত উৎসব বন্ধ
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় পাঁচশ বছর পর দেশে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে যথেষ্ট উন্মাদনা রয়েছে। সাধারণ মানুষ নিজের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে চাইছেন। তাঁদের এই অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। সেই কারণে এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হচ্ছে। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের জানিয়েছেন, আমরা রামমন্দির উদ্বোধনকে কখনওই ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে দেখি না। এই মন্দির ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রতীক। সেই কাজে বাধা দেওয়া হলে তা রোখার চেষ্টা করব আমরা। সেই কারণে দলীয় উদ্যোগে এই নম্বর চালু করা হল।
বঙ্গ বিজেপির তরফে রাম মন্দির উদ্বোধনের একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত জেলার প্রতি বুথের অন্তত একটি হলেও মন্দিরে পুজোর আয়োজন করতে হবে। সেই মন্দির পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে প্রসাদ বিলি করতে হবে। সকাল বা সন্ধায় ‘নগরকীতর্ন’ করতে হবে। এছাড়া এলাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রদীপ বিলি করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য জানাতে হবে। সমস্ত বুথের অন্তত ৫০টি বাড়িতে যাতে প্রদীপ জ্বলে, তা নিশ্চিত করতে হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *