রাম মন্দির উদ্বোধনের কারণে সোমবার বইমেলা প্রাঙ্গণে কিছু কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। কিছু শিশুদের এদিন রামের ন্যায় সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বইমেলায়। এছাড়াও বইমেলায় আগত পাঠকদের হাতে পদ্ম ফুল তুলে দেওয়া হয় এবং রাম মন্দির সংক্রান্ত কিছু লিফলেট বিলি করা হয়। এই বইমেলার ভিতরে বিজেপির পদ্মফুল বিতরণ ও ও গেঞ্জি উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিশৃঙ্খল।
অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরের উদ্বোধনের পরেই, কলকাতার রাস্তায় খুদে রামলালারা। কলকাতা বই মেলা প্রাঙ্গণে তীর ধনুক হাতে একাধিক রামলালার দেখা মিলল সোমবার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ ও সমর্থকরা। সাধারণ মানুষের হাতে পদ্মফুল তুলে দেয় তাঁরা। যদিও এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
বিধান নগর পুলিশের উচ্চ পদস্থ অফিসাররা এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। রুদ্রনীল ঘোষ এবং অন্যান্য বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তাঁদের। পুলিশের তাদের জানায়, বইমেলা প্রাঙ্গণের ভেতরে কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড বা কোন প্রসেশন করার কোন অনুমতি নেই। পুলিশ বাধা দিতে গেলেই বচসা বাধে দুই পক্ষের। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ জানান, আমরা এখানে কিছু শিশুকে নিয়ে এসেছিলাম। ফুল বিতরণ করছিলাম, কিছু লিফলেট বিলি করছিলাম। এতে পুলিশ এসে বাধা দেয়। রুদ্রনীল বলেন, ‘ দলদাস পুলিশ এসে হঠাৎ আমাদের বাধা দেয়। এঁরা নিজেরাই আমাদের সামনে এসে বলছে জয় শ্রী রাম দাদা। এরপর এঁরা বলছে, আমাদের উপর নির্দেশ রয়েছে এইখানে এসব করা যাবে না। জটলা করা যাবে না।’
বইমেলার প্রাঙ্গণ থেকেই তৃণমূলের সংহতি মিছিল নিয়েও কটাক্ষ করেন রুদ্রনীল তিনি বলেন, ‘এঁরা কেন এত রামকে ভয় পাচ্ছেন? তাঁরা কারণ রাম সত্য। আজকে দিদিভাই, দাদাভাই সকলে হাঁটছেন। এ বড় দুর্ভাগ্যের। পশ্চিমবঙ্গের শাসককে রাম সুমতি দিন, এইটুকুই বলব।’ পুলিশের সঙ্গে বচসার পর এই কর্মসূচি বন্ধ করে দেন বিজেপি নেতাদের তরফে।