Nakhoda Mosque : ‘কোনও প্ররোচনায় পা নয়’, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন বিশেষ বার্তা নাখোদা মসজিদের – nakhoda mosque says they consider ram mandir inauguration as social programme


রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে সকাল থেকেই সাজ সাজ রব। সেজে উঠেছে অযোধ্যা। কোথাও যাতে সামান্যতম অশান্তির ঘটনা না ঘটে সেই কারণে তৎপর প্রশাসন। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া গোটা দেশ।

রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক এই মন্দির গড়ে উঠছে। এই দিনটিকে ‘সামাজিক উৎসব’ হিসেবেই দেখছে নাখোদা মসজিদ। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের কাছে আবেদন, এই নিয়ে কোনও বিরূপ মন্তব্য কাম্য নয়। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে যাতে কোনওভাবেই ধর্মীয় আঙ্গিকে দেখা না হয় সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং এদিনটিকে বৃহত্তর সামাজিক উৎসবের রূপে দেখা যেতে পারে, বার্তা নাখোদা মসজিদ কর্তৃপক্ষের।

নাখোদা মসজিদের এক ট্রাস্টি সদস্যের কথায়, ‘রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে একটি সামাজিক উৎসব হিসেবেই দেখার কথা বলব। সমস্ত বিষয় নিয়েই যে সকলকে খুশি হতে হবে তা নয়। কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও মনে বিরোধিতা থাকতে পারে। এই ঘটনা কোনওভাবেই তার ব্যতিক্রম নয়। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে তা তৈরি করা হয়েছে। ভারতের সমস্ত নাগরিককে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা উচিত।’

পাশাপাশি ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও উসকানিমূলক প্ররোচনায় যাতে পা না দেওয়া হয়, সেই বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি। নাখোদা মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য সংবিধান প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের সংবিধান সবার উপর, এই কথা কোনওভাবে ভুলে গেলে চলবে না। কোনওভাবেই যাতে ভারতের সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুন্ন না হয় সেই দিকে সমস্ত পক্ষকেই নজর রাখতে হবে।’

তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ১৯৯২ সালে যখন বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয় সেই সময়ও নাখোদা মসজিদের তৎকালীন ইমাম শেখ মহম্মদ সাবির শান্তি রক্ষা করার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু নাখোদা মসজিদ কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেছিলেন যাতে তাদের তরফে শান্তি রক্ষার বার্তা দেওয়া হয়।

Abhishek Banerjee On Ram Mandir : ‘ঘৃণা, হিংসা এবং নিরাপরাধদের মৃতদেহের উপর…’, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য অভিষেকের
সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ রাম মন্দিরে পৌঁছতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা শুরু হবে। এই দিনও শান্তি রক্ষার বার্তা দেওয়া হল নাখোদা মসজিদের তরফে। প্রসঙ্গত, এদিনই সংহতি মিছিল করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত ধর্মের মানুষজনদের নিয়ে তিনি পার্ক সার্কাস ময়দানে একটি সমাবেশ করবেন। কোথাও যাতে অশান্তির ঘটনা না ঘটে সেই জন্য শহরকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *