কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এ দিন নেতাজি ইন্ডোরে সীমিত সংখ্যক নেতা-কর্মীকে নিয়ে নওশাদ সভা করেন। নেতাজি ইন্ডোরের পাশাপাশি ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জে সমান্তরাল জনসভা করা হয়। সেখানে আইএসএফের ভাঙড়ের নেতারা ছিলেন। ভাঙড়ের সভা ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশ রুট মার্চও করে বিভিন্ন এলাকায়।
ভাঙড়ের বিভিন্ন রাস্তার মোড়েও পুলিশি নজরদারি চালানো হয়। বড় কোনও অশান্তি না হলেও কচুয়া এলাকায় আনসারুল মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মীকে তৃণমূল মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
এদিন ইন্ডোরের সভায় নওশাদের বক্তব্য, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন তাঁদের পাখির চোখ। তবে লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্য থেকে সংসদে প্রতিনিধি পাঠাতে চায় আইএসএফ। তৃণমূল ও বিজেপি—দু’পক্ষকেই হারানো তাঁদের মূল লক্ষ্য বলেও এদিন দাবি করেছেন নওশাদ। যদিও আইএসএফ-কে গুরুত্ব দিতেই রাজি নয় রাজ্যের শাসক দল।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘বিজেপির টাকায় ভোট কাটার রাজনীতি করে এই দল। এরা এমন দল যারা অন্য দলের প্রতীকে লড়াই করে।’ যদিও তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নওশাদ বলেন, ‘মানুষের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললেই আমাদের বিজেপির দালাল অথবা মুসলমানের পার্টি বলা হয়।’
দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান ধর্মতলায় করতে চেয়েছিলেন আইএসএফ নেতৃত্ব। যদিও সেই অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওশাদ সিদ্দিকিরা। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ শর্ত সাপেক্ষে সভা করার অনুমতি দিলে রাজ্য সরকার তা চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সভা না-করে পরিবর্তে ইন্ডোরে সভা করার পরামর্শ দেয়।
তার ভিত্তিতেই এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করে আইএসএফ। এক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, আইএসএফের আগের বছরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সভায় প্রবল গোলমাল হয়েছিল। সেই গোলমালের জেরে পুলিশও আক্রান্ত হয়। এমনকী সে বার গোলমাল ছড়িয়েছিল ভাঙড়েও। সে কথা মাথায় রেখেই এদিন ভাঙড়ে বড় পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। যদিও তেমন কোনও সমস্যা এদিন হয়নি।