আজ ইংরেজবাজার পৌরসভার উদ্যোগে মালদার নেতাজি মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী – সহ অন্যান্য তৃণমূল কাউন্সিলররা। তৃণমূলের এই মঞ্চে একই সঙ্গে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীকেও। শাসক দলের নেতা – নেত্রীদের সঙ্গে তিনিও নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন।
পরে সুজন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘মালদা শহরের সমস্ত স্কুল ক্লাব রাজনৈতিক দলগুলি একসঙ্গে মিলে নেতাজীর জন্মদিন পালন করছে, খুব ভালো লাগছে। আমরা সবাই নেতাজির ভক্ত। এখানে রাজনৈতিক কোনও ব্যাপার নেই। আমাকে ডেকেছে, আমরা এসেছি।’ মাল্যদান কর্মসূচির পর ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ২৩শে জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করার পক্ষেও সওয়াল করেন সুজন।
মালদা শহরের সমস্ত স্কুল ক্লাব রাজনৈতিক দলগুলি একসঙ্গে মিলে নেতাজীর জন্মদিন পালন করছে, খুব ভালো লাগছে। আমরা সবাই নেতাজির ভক্ত। এখানে রাজনৈতিক কোনও ব্যাপার নেই। আমাকে ডেকেছে, আমরা এসেছি।
সুজন চক্রবর্তী
অন্যদিকে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘পৌরসভার পক্ষ থেকে মাল্যদান করছিলাম। ঠিক সেই সময় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এখানে আসেন। আমরা তাঁকেও মাল্যদান করতে আমন্ত্রণ জানাই। এটা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।’
প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেই ভোটে কেন্দ্রে বিজেপিকে হারাতে ইন্ডিয়া জোট তৈরি করে একাধিক বিরোধী দল। সেই জোটে যেমন রয়েছেন কংগ্রেস, তেমনই রয়েছে তৃণমূল। আবার রয়েছে সিপিএমও। যদিও সেই জোটের ভবিষ্যৎ বা এই রাজ্যে জোট কতোটা মেনে চলা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মধ্যে। কারণ সোমবারই পার্ক সার্কাস ময়দানের সভামঞ্চ থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই নাম আমরা দিলাম, যেখানে যাই সেখানেই দেখি, সিপিএম মিটিং কন্ট্রোল করে, যে দলের সঙ্গে ৩৪ বছরের লড়াই তাদের কথা শুনব?’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘সিপিএম জোটের বৈঠক নিয়ন্ত্রণ করে, অসম্মান সত্ত্বেও জোটের বৈঠকে যাই।’ সেক্ষেত্রে মমতার এই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তৃণমূল ও সিপিএম নেতাকে একমঞ্চে দেখা যাওয়ার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।