ওই নেটিশে বলা হয়েছ, ২৩ জানুয়ারি ফেয়ারলি প্লেস থেকে কুঠিঘাট ভায়া কাশীপুর, বাগবাজার ও রতনবাবু ঘাটের ফেরি বন্ধ থাকবে। একইভাবে আগামী ২৬ জানুয়ারি হাওড়া থেকে সিপিং, হাওড়া থেকে ফেয়ারলি ও কুঠিঘাট থেকে ফেয়ারলি ভায়া কাশীপুর এবং বাগবাজার ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, ছুটির দিন হওয়ায় পিকনিক বা ঘোরাঘুরির প্ল্যান থাকতে পারে বহু মানুষের। সেক্ষেত্রে প্রচুর মানুষের কুঠিঘাট থেকে হাওড়া ও কলকাতা যাওয়ার পরিকল্পনা থাকতে পারে। কিন্তু ফেরি বন্ধ থাকায় ঘুর পথে ট্রেনে ও বাসে চেপে যেতে হবে তাঁদের। ফলে বাড়তি সময় ও অর্থ দুইই ব্যয় হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য কুঠিঘাট ও বেলুড়ের মধ্যে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছিল। মূলত গঙ্গাসাগর মেলায় জন্য ওই জায়গা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় লঞ্চ। আর সেই কারণেই ওই পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্র মারফৎ জানা যায়। মূলত ১২ জানুয়ারি যুব দিবসের সময় পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছিল।
মনে রাখতে হবে, রাজ্যর বিভিন্ন ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিনই প্রচুর মানুষ পারাপার করেন। অর্থাৎ মানুষের নিত্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে ফেরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিবহণের পথ। রাজ্যে এমনও কোনও কোনও জায়গা রয়েছে, যেখানে অন্যতম প্রধান পরিবহণ মাধ্যমই হল ফেরি। শীতকালে ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমে গেলে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ঘাটে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। যার জেরে বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয় নিত্য যাত্রীদের। তার মাঝেই এবার কুঠিঘাট – ফেয়ারলি প্লেস ফেরি যোগাযোগ বন্ধ থাকার খবর সামনে এল। তাও এমন দিনে, যেদিন মানুষের বিশেষ প্ল্যান থাকতে পারে। তবে ওই দিন ছুটির ছুটি থাকায় নিত্য যাত্রীদের ভিড় অনেকটাই কম হবে। সেক্ষেত্রে নিত্য যাত্রীদের খুব একটা ভোগান্তি মুখে পড়তে নাও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।