ঠিক কী জানানো হয়েছে নির্দেশিকাতে?
এই নির্দেশিকাতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে রবিবার এবং অন্যান্য ছুটির দিন বাদ দিয়ে সকাল ৯টার মধ্যে সমস্ত হাসপাতালের OPD খুলে দিতে হবে। যদি OPD খুলতে দেরি হয় সেক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় বহু মানুষের ভিড় জমে যায়। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। যাতে সাধারণ মানুষকে ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে এবং রোগীদের ভিড় বা চাপ এড়িয়ে যাওয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।
ফলে রোগীদের ওয়েটিংয়ের সময় যেমন কমবে তেমনই আরও অনেক মানুষকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি এই নির্দেশ যাতে মান্য করা হয় তা নিশ্চিত করার জন্য পূর্ণ নজরদারি চালানো হবে। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে তথ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে SMS করে সমস্ত তথ্য দিতে হবে। এর আগেও এই ধরনের একটি রিপোর্টিং সিস্টেম ছিল। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তা অনেকে ব্যবহার করছেন না।
এবার থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই রিপোর্ট পাঠাতে হবে। জেলাগুলির CMOH-কে এক্ষেত্রে নোডাল অফিসারের কাজ করতে হবে এবং সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাতে হবে। জেলার স্ট্যাটিসটিক্যাল ম্যানেজার (DSM)-কে নিশ্চিত করতে হবে সকলে সঠিকভাবে নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্টিং করছে কিনা।
MSVP-র সঙ্গে এই পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধানে সাহায্য করতে চলেছেন অ্য়াডিশনার মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট। হাসপাতালের মধ্যে থেকেই এক্ষেত্রে একজন নোডাল অফিসারকে বেছে নিতে হবে যিনি প্রতিদিন এই SMS-এর মাধ্যমে তথ্য পৌঁছে দেবেন।
এই নতুন নির্দেশের প্রেক্ষিতে OPD-গুলি থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে অনেকটাই সুবিধা হতে চলেছে সাধারণ মানুষের এমনটাই মনে করা হচ্ছে। শীঘ্রই এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।