OMR Sheet : বর্ধমানে ঠোঙা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে টেটের ওএমআর শিট! মিলল একগুচ্ছ পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর – tet 2012 omr sheet allegedly turns into packet and available in burdwan


শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরে রাজ্যে জটিলতা অব্যাহত। উঠেছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। আর দুর্নীতির কারণে আটকে গিয়েছে যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ। চলছে লাগাতার আন্দোলন। অন্যদিকে আদালতেও চলছে এই সংক্রান্ত মামলা। এসএসসি থেকে প্রাথমিক, সব ক্ষেত্রেই উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। এবার এই সবেরই মাঝে উঠে এল চাঞ্চল্যকর খবর।

নিয়োগের দাবিতে যখন দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা, ঠিট সেই সময়েই পরীক্ষার ওএমআর শিট দেখা গেল ঠোঙা হয়ে ঘুরতে। ঘটনাস্থল বর্ধমান। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষামহলে। জানা গিয়েছে ওএমআর শিটগুলি ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হেফাজতে না থেকে কী ভাবে দোকানের ঠোঙা হয়ে উঠল?

একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি ঠোঙা খুলে পাওয়া গেল ২০১২ সালের ওএমআর শিটের খণ্ডাংশ। যে ওএমআর শিট বর্ধমান শহরে ঠোঙার আকারে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে রোল নম্বরের জায়গায় লেখা ১১০৫২৩০০। কোয়েশ্চেন বুকলেটের জায়গায় নম্বরও রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, যাঁদের ওএমআর শিট থেকে ঠোঙা তৈরি হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক পরীক্ষার্থীর নাম স্বপন বেরা। তালিকায় রয়েছে আরও। উদ্ধার হওয়া রোল নম্বর থেকে জানা যাচ্ছে, যাঁদের ওএমআর শিট ঠোঙায় রূপান্তরিত হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছেন সুরজিৎ দে, শেখ সেলিম আহমেদ, মিলি বেহেরা, শত্রুঘ্ন দাসের মতো আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থী। এই রকম ১০০-টিরও বেশি ওএমআর শিট বর্তমানে দোকানে দোকানে ঠোঙা হয়ে বিভিন্ন খদ্দেরের হাতে ঘুরছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি না পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা বর্তমানে রাজ্যে প্রায় এক লাখ ৪২ হাজার বলে সূত্রের খবর।

আগেও ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর ওএমআর শিট উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল কলকাতার বেহালায়। একটি চুড়িদারের দোকান থেকে উদ্ধার হয় ওএমআর শিটগুলি। ওই ব্যবসায়ী পাইকারি বাজার থেকে চুড়িদার কিনে এনে দোকানে সাজাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়েই বাক্সের মধ্যে থেকে ওই ওএমআর শিটগুলি পাওয়া যায়। যদিও পরে অবশ্য জানা যায় শিটগুলি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের। উত্তরপত্রের উপরেই সেটি লেখাও ছিল। সেগুলি ২০১৬ এবং ২০১৮ সালের পরীক্ষার উত্তরপত্র বলে জানা যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *