তারিখ পে তারিখ…! ধৈর্যর বাঁধ ভাঙছে চাকরি পাওয়া ICDS সুপারভাইজারদের – icds supervisor recruitment successful candidate getting upset for delayed joining


সাংবাদিকদের ভুল বার বার শুধরে দিচ্ছেন ওঁরা। ‘আমরা চাকরিপ্রার্থী নই, চাকরি পেয়েও বসে আছি!’ পিছন থেকে একজন বললেন, ‘চাকরি পাওয়া বেকার আমরা!’ খানিক থেমে এক তরুণী বললেন, ‘জয়েনিং হচ্ছে না, সেটাই চাই। আর কোনও দাবি নেই।’

পাকা চাকরি পাওয়ার পর এক, দুই, তিন মাস করে কেটেছে এক বছর। তবে সিংহ ভাগেরই এখনও জয়েনিং হয়নি। ফের তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন চাকরি পাওয়া ICDS সুপারভাইজাররা। সল্টলেক শৈশালী ভবনের সামনে বুধবার রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এখানেই নারী ও শিশুবিকাশ এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের সদর অফিস। পরে অফিসে ঢুকে তাঁরা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর থানার পুলিশ। চলে বাদানুবাদও। অভিযোগ, জোর করে আন্দোলনকারীদের সরাতে গিয়ে দু একজন অল্পবিস্তর জখমও হন। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে।

ICDS Supervisor Recruitment : PSC পরীক্ষা দিয়ে সফল! ৫ বছরেও নিয়োগ নেই!

২০১৯ সালে ICDS সুপারভাইজার পদে PSC-র মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২হাজার ৯৩১ জন সফলভাবে ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে প্যানেলে থাকা ১৩৬ জন চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগ করা হলেও অর্থাৎ পোস্টিং হলেও বাকিদের এখনও নিয়োগ হয়নি। কেউ বার বার দফতরে যাচ্ছেন তো কেউ জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। এই নিয়েই বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চলছে। কেউ ইতিমধ্যেই হতাশায় ভুগতে শুরু করেছেন। কেউ বা সব আশা ছেড়ে অন্য পরীক্ষার জন্য চেষ্টাও শুরু করে দিয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সমস্ত প্রক্রিয়া মিটে যাওয়ার পরেও জয়েনিং করাতে কেন এতদিন সময় লাগছে? রাজ্যে মোট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৮১। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে কর্মী ও সহায়িকা থাকেন। জেলায় DPO, CDPO এবং সুপারভাইজাররা থাকেন। অনেক জেলাতেই সুপারভাইজারের ক্ষেত্রে শূন্যপদ ছিল। তখনই এই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

যদিও এর আগে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই সময় ডিজিটাল-কে বলেছিলেন, ‘ICDS কর্মী যাঁরা, তাঁরা প্রোমোশনের মাধ্যমে এই পদে আসার জন্য মামলা করেছে। বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। সে কারণে যাঁরা সরাসরি সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ হয়েছেন, তাঁদের একটা বড় অংশ এখনও জয়েনিং পাননি।’ যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, যখন PSC নির্দেশিকা বের করেছিল, সেখানে লেখা ছিল ২৯০০ মতো পদে সরাসরি নিয়োগ হবে, আর ১০০০ মতো শূন্যপদে প্রোমোশনের মাধ্যমে নিয়োগ হবে এবং দুই ক্ষেত্রে পরীক্ষাও আলাদা আলাদা হয়েছিল। ফলে নিয়োগ না করার কারণ হিসেবে প্রোমোশন পাওয়ার জন্য মামলা করেছে কিছুজন, এটা কারণ হতেই পারে না। দুটোর ক্ষেত্রে কোন যোগাযোগই নেই।

Teacher Recruitment : ‘ভুল হলে কোর্ট শুধরে দিক…’, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় বার্তা মমতার
এদিন যদিও আন্দোলনকারীদের পক্ষে এও দাবি করা হয়েছে, মেডিক্যাল, পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট জমা করার পরেও দফতর হারিয়ে ফেলেছে সে কারণেই নিয়োগে দেরি হচ্ছে। তাঁদের এই দাবি ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও দফতরের এক কর্তা বলছেন, ‘জয়েনিং হবেই। স্বচ্ছভাবেই যা হওয়ার হবে। বাকি যা বলা হচ্ছে সবই ভিত্তিহীন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *