বিচারপতির প্রশ্ন, আপনি জেলের দায়িত্বে আছেন। এজি হিসেবে রেমিশনের দায়িত্বে আছেন। আমার নিজের কোনও আপত্তি নেই। রাজ্যের হয়ে কথা বলবেন আপনি, সেটাই শুনতে পছন্দ করব। আপনার নিজের অফিস আছে। বিভিন্ন মানুষ এটা নিয়ে কথা বলবে। রাজ্যের অনুমতি নিন, মুখ্যসচিবের অনুমতি আনবেন। পালটা এজি জানান, আমি এই মামলায় ফাইনাল টাচ দেব। আমি আদালতের কনসার্ন বুঝি।। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরিবর্তী শুনানি রয়েছে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে জুলাই মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ১৩ মাস পর গত সেপ্টেম্বর মাসেও জামিনের জন্য আর্জি করেছিলেন তিনি। যদিও, এই ইডি এই জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে। জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।
সেপ্টেম্বর মাসে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। গত বছরের পুজো জেলে কাটাতে হয় পার্থকে। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর সেই মামলারই শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। মামলা পিছিয়ে যায়। এরপর ৯ অক্টোবর মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানিতে ফের পিছিয়ে দেওয়া হয় জামিনের আবেদনের মামলা।
আপাতত, প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালানো হয়েছে। কয়েকদিন আগেই আদালতে নিয়োগ মামলা নিয়ে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। নবম – দশম, একাদশ – দ্বাদশ, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের মামলায় চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। চারটি চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। যদিও, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুনানি এর আগে জানিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক বলে আবেদন জানানো হয়েছিল।