জানা গিয়েছে বুধবার সকালে ইডির ৮ জন আধিকারিক পৌঁছে যান শেখ শাহজাহানের বাড়িতে। সঙ্গে ১২৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। উপস্থিত হন রাজ্য পুলিশের কর্তারাও। রাজ্য পুলিশের তরফে ইডির তরফে তল্লাশির চালানোর কাগজ দেখতে চাওয়া হয়। ইডির তরফে দেখান হয় কাগজ। সেখানে রাজ্য পুলিশের তরফে জানতে চাওয়া হয়, বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালানো হবে, সেই কথা কাগজে কোথায় লেখা রয়েছে? কাগজের সেই অংশটিও দেখিয়ে দেন ইডির কর্তারা।
ইতিমধ্যেই চাবিওয়ালাকে ডাকা হয়। প্রথমে রাজ্যে পুলিশের তরফে বলা হয় বাড়ির তালা ভাঙা যাবে না, কোনওরকমভাবে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তা খুলতে হবে। যদিও শেষ তালা ভাঙতেই হয় চাবিওয়ালাকে। দীর্ঘ ৪৫ মিনিট বাড়ির বাইরে কথবার্তার পর, ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন ইডির কর্তারা। ইডির আধিকারিক, সাক্ষী ও ভিডিও গ্রাফার মিলিয়ে মোট ১৩ জন প্রবেশ করেন শাহজাহানের বাড়ির ভিতরে।নতুন একটি তালা দিয়ে বাড়ির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন রাজ্য পুলিশের তরফে মোট ৩৫ জন আধিকারিক উপস্থিত রয়েছেন। রয়েছেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা। একইসঙ্গে ব়্যাফও উপস্থিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেও রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। প্রথমে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা বাঁধে তাদের। তারপরেও তারা চড়াও হয় ইডির কর্তাদের ওপরে। ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁদের। মারধরে আহত হন ৩ ইডি আধিকারিক। তারমধ্যে রাজকুমার রাম নামে এক ইডি কর্তার মাথা ফেটে রক্ত ধরতে থাকে। তড়িঘড়ি তাঁদের সেখান থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্ত যাঁকে ঘিরে এত কাণ্ড, সেই শেখ শাহজাহানের কোনও খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। গোটা বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এরই মাঝে এবার ফের একবার শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার।