কসবার শ্রেয়া চৌধুরী ঠিক করেছিলেন, বইয়ের দাম মেটাবেন ইউপিআই আইডির মাধ্যমে। কিন্তু একটি স্টল থেকে ৫২৫ টাকার বই কেনার পর লাগাতার চেষ্টা করেও সফল হননি। টানা ৩০ মিনিট এটিএমের লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তোলার পর পছন্দের বই কিনেছেন শ্রেয়া।
সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলা শুরু হওয়া থেকেই অনিল-শ্রেয়ার মতো সমস্যায় পড়ছেন বইপ্রেমীদের অনেকেই। সমস্যায় দোকানদাররাও। ইন্টারনেট ঠিক ভাবে কাজ না করায় সমস্যা হচ্ছে বই বিক্রিতে।
মঙ্গলবার বইমেলায় গিয়েছিলেন সল্টলেক একে ব্লকের সুদেব দত্ত। তাঁরও বক্তব্য, ‘লাগাতার চেষ্টা করেও অনলাইনে বইয়ের দাম মেটাতে পারিনি। বাধ্য হয়েই ২০ মিনিট এটিএমের লাইন দাঁড়িয়ে টাকা তুলে দাম মিটিয়েছি।’ যাদবপুরের পিউ বসাক বইমেলা শুরুর পর থেকে তিন দিন এসেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা, ‘শুধু অনলাইন পেমেন্টই নয়, ফোনও অধিকাংশ সময়ে কাজ করছে না।’
একটি প্রকাশন সংস্থার তরফে তাপস ভৌমিক বলেন, ‘অনলাইনে পেমেন্ট না হওয়ায় অনেক পাঠক ফিরে যাচ্ছেন।’ আরও একটি প্রকাশন সংস্থার তরফে শান্তনু ঘোষের বক্তব্য, ‘ভিড় বেশি হলে অনলাইন পেমেন্টে সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। পেমেন্ট ফেল হলে পাঠকও বই না কিনেই বেরিয়ে যাচ্ছেন।’ এটিএমের লাইনে যাওয়ার অনুরোধ করা হলেও ডিজিটাল যুগে বই কেনার জন্যে ক্রেতাদের অধিকাংশ সে পথে হাঁটছেন না বলে জানাচ্ছেন দোকানিরা।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মেলায় ইন্টারনেট সংযোগ এবং ফোনের টাওয়ার যাতে ঠিক থাকে তা নিশ্চিত করতে মেলা প্রাঙ্গণে টাওয়ার বসানো হয়েছে। প্রকাশন সংস্থাগুলিকেও ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’ কিন্তু অনেক সংস্থা আলাদা করে ইন্টারনেট সংযোগ না-নেওয়াতেই সমস্যা হচ্ছে বলে বক্তব্য গিল্ডের। ভিড় বেশি হলে সমস্যা বেশি হচ্ছে। আগামী বছর যাতে এই সমস্যা না হয়, সে জন্যে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে গিল্ডের তরফে।