আজ বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রশাসনিক সভা থেকে ফেরার পথেই ঘটে যায় বিপত্তি। জানা গিয়েছে, সেই সময় আচমকাই তাঁর কনভয়ে একটি গাড়ি ঢুকে যায়। সভামঞ্চ থেকে আননুমানিক ২০০ মিটার দূরে, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি যখন জিটি রোডে উঠছে, ঠিক সেই সময়ই অন্য দিক থেকে একটি গাড়ি তাঁর কনভয়ে ঢুকে পড়ে। যার জরে জোরে ব্রেক কষতে হয় চালককে। আর তাতেই মাথায় ও হাতে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। একটু ধাতস্থ হয়ে আবারও কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় তাঁর গাড়ি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঘাত ঠিক কতটা গুরুতর, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। যদিও মাথায় রুমাল চাপা দিয়ে থাকতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিকে এদিনই আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে চরম ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে দেখানো হয় কালো পতাকা। তোলা হল গো ব্যাক স্লোগান। উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এআইডিএসও সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
সেক্ষেত্রে দেখা গেল, এহেন ঘটনাবহুল দিনে সাক্ষাৎ রাজ্যের সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক প্রধানের। প্রসঙ্গত, অতীতে বিভিন্ন ইস্যুতে নবান্ন ও রাজভবন সংঘাত দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন সময় রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্য পাল সি ভি আনন্দ বোস। কখনও কখনও রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব বা ডিজির মতো পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের ডেকেও পাঠিয়েছেন তিনি। আবার সরাসরি রাজ্যপালের সমালোচনা করতে দেখে গিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তথা সরকারের একাধিক মন্ত্রীকে। এমনকী সেই তালিকায় বাদ ছিলেন না স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁকেও বিভিন্ন সময় রাজ্যপালের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছ। সেক্ষেত্রে তারপর এদিনের বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয় এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সমস্ত পক্ষ।