রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরকারি পরিষেবা পেতে গিয়ে প্ররোচনার ফাঁদে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে। তৃণমূল নেতা, কর্মীদের পকেটে টাকা না গুঁজে দিকে পরিষেবা থেকেই অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসে। এবার সেই রোগের নতুন দাওয়াই দিলেন মমতা। পূর্ব বর্ধমানের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মমতা বলেন, ‘যদি কেউ পয়সা চায়, ধরে দুটো থাপ্পড় দিন। থানায় গিয়ে একটা ডায়েরি করুন।’
এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ‘স্থানীয় স্তরে কেউ কেউ ভুল ত্রুটি করতে পারে, সেই সমস্যা দুয়ারে সরকারে গিয়ে সামলে নিন। ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বুথে বুথে সরকারি আধিকারিকরা যাবেন, এখনও কেউ বঞ্চিত হয়ে থাকলে, নাম লেখান। আমরা পুরোটা দেখে নেব।’
গত বছরেই পথশ্রী প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের একাধিক জায়গায় রাস্তা তৈরি হলেও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করার ভুরিভুরি অভিযোগ উঠে এসেছে। এই সম্পর্কে বলতে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ আমরা বড় বড় মালবাহী গাড়ি গ্রামীণ রাস্তায় উঠতে দিই না। যদি কেউ টাকা খেয়ে সেটাকে অনুমোদন দেয়, তাহলে হাতেনাতে ধরুন। ডায়েরি করুন।’
উল্লেখ্য, এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় স্তরের নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নেতা-কর্মীরা ক্ষমতাবলে দুর্নীতি করছে বলে দাবি করা হয় গোটা রাজ্য জুড়ে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যত সেই অভিযোগ একাধারে স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী, অন্যদিকে, স্থানীয় স্তরের এই দুর্নীতি রুখতে গেলে জন সাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও বার্তা দিলেন তিনি। দুর্নীতি করলে দল এবং সরকার যে সেই ব্যক্তির পাশে দাঁড়াবে না, সেই কথা স্পষ্ট করতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।