প্যাঙ্গোলিন জীবিত অথবা মৃত হোক বা আঁশ বিক্রি কিছুই বাদ যায় না। এবার এই ধরনের ঘটনা সামনে এল আসানসোলে। সোমবার রাতে বনদফতরের আসানসোল রেঞ্জ গোপন সূত্রে খোঁজ পায় প্যাঙ্গোলিনের আঁশ কারবারিদের। আসানসোলের কুমারপুর এলাকায় পাচারের পথে বনদফতরের হাতে ধরা পড়ে দু’জন পাচারকারী। ধৃতদের নাম রামকুমার গিরি(৩৪) ও অনিল কুমার চৌধুরী(২৪)। ধৃত দুজনেই আসানসোলের বাসিন্দা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে আসানসোল কুমারপুর এলাকা থেকে পাচারের পথে এই দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কিলো আঁশ উদ্ধার হয়েছে। চোরা কারবারের বাজারে যা বহু মূল্যবান বলে জানা যায়। যদিও বন দফতরের দাবি, এই আঁশের কোনও মূল্য নেই। আসানসোল রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় পতি জানিয়েছেন, প্যাঙ্গোলিনের আঁশগুলি পাচারের চক্রান্ত করা হচ্ছিল। । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা এই পাচারের রোখার উদ্য়োগ নিই।
পরে আসানসোলের কুমারপুর এলাকায় মোবাইল ট্র্যাকের মাধ্যমে স্পট চিহ্নিত করে হাতেনাতে দুজনকে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ সহ আটক করা হয়। ধৃতদের আসানসোল দক্ষিণ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ২ কেজি ১৪০ গ্রাম প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার হয়েছে। ওই আঁশগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। । মঙ্গলবার ধৃতদের আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,প্যাঙ্গোলিন ভারত বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কায় রয়েছে৷ তার মধ্যে ভারতের বিহার, ছত্তিশগড়, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মেঘালয়, ওড়িশা, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমবঙ্গে, তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যে তাদের দেখা পাওয়া যায়।
প্যাঙ্গোলিনের আঁশ চিনের মেডিসিন তৈরির একটি ওষুধ উপাদান। আর সেই কারণে চোরা পাচারকারীদের মধ্যে তার চাহিদা বেড়েছে। দুর্গাপুর বন দফতরের ডিএফও অনুপম খান জানান, প্যাঙ্গোলিনের আঁশ কারবারি দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আঁশ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই আঁশের কোনও বাজার মূল্য নেই। আঁশ কোথা থেকে আনা হচ্ছিল, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।