West Bengal News : মেদিনীপুরের কুবাই সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত, কোন পথে পৌঁছবেন কলকাতা? – traffic control by administration on west midnapore kubai bridge for maintenance work


কংসাবতী নদীর উপর বীরেন্দ্র সেতুর সংস্কারের পর এবার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের কুবাই সেতুর কাজ শুরু করল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। আর তার জন্য ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মেদিনীপুর ও গড়বেতার মাঝে কুবাই ব্রিজের উপর দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সমস্ত রকম যান চলাচলের নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যানবাহন চলাচলের পথ পরিবর্তন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

মঙ্গলবার রাত আটটার পর থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত, প্রায় ১০ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় যান চলাচল। এই ৬ দিনই রাত্রি আটটার পর থেকে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে ২৫ জানুয়ারি ও ২৮ জানুয়ারি ৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে যান চলাচল। যাতে যান চলাচলে সমস্যা তৈরি না হয় সেই জন্য বিকল্প রাস্তা ইতিমধ্যে নির্ধারণ করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

কোন পথে যাতায়াত?
বাঁকুড়ার দিক থেকে কলকাতার দিকে যেতে হলে চন্দ্রকোনা রোড, চন্দ্রকোনা টাউন, ঘাটাল, দাসপুর, মেছোগ্রাম হয়ে পাশকুড়া যেতে হবে। আবার মেদিনীপুরে আসতে গেলে চন্দ্রকোনা রোড, চন্দ্রকোনা টাউন কেশপুর হয়ে মেদিনীপুর শহরে আসা যাবে। অন্যদিকে মেদিনীপুর থেকে গড়বেতা যেতে হলে ধরতে হবে ভালোতলা, পিড়াকাটা, গোয়ালতোড়, চন্দ্রকোনা রোডের রাস্তা। কুবাই নদীর উপর জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে ব্রীজ। আর সেই কারণেই এক সেতু সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

এর আগে বন্ধ থাকে দেশপ্রাণ বীরেন্দ্র সেতু
এর আগে গত অগাস্ট মাসে লোড টেস্টিং তথা ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষার জন্য বন্ধ রাখা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের দেশপ্রাণ বীরেন্দ্র সেতু। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানানো হয়। ১৭ অগাস্ট রাত ১১টা থেকে একটানা কয়েকদিন বন্ধ রাখা হয় ওই সেতুর ওপরে যান চলাচল।

সেই সময়ে ঘুর পথে যাতায়াত করতে হয় গাড়িগুলিতে। বীরেন্দ্র সেতু বন্ধ থাকার ফলে সেই সময় মেদিনীপুর শহর থেকে কলকাতাগামী গাড়িগুলিকে ধর্মা, কেশপুর, লঙ্কাগড়, রাজনগর, বকুলতলা, খুকুড়দহ, মেছোগ্রাম হয়ে জাতীয় সড়ক ধরতে হয়। যার জেরে মেদিনীপুর থেকে কলকাতা পৌঁছতে লেগে যায় দীর্ঘ সময়। সেতু বন্ধ রাখার ফলে ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। একদিকে যেমন যাতায়াতের জন্য সময় বেশি লাগে, তেমনই বাড়তি খরচও গুণতে হয় তাঁদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *