বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ সেই জবাব দেখে মন্তব্য করে, এই আরটিআইয়ের বয়ানে এসএসসি জানিয়েছে, তাদের ডেটাবেসে যে তথ্য আছে, সেখান থেকেই জবাব দেওয়া হয়েছে। তার মানে তাদের কাছে ওএমআর শিটের কপি আছে। এটা তো কোথাও কোনও আদালতে এসএসসি এতদিন বলেনি! উল্টে এসএসসি জানিয়েছিল যে সব নথি নাইসা’র কাছে রয়েছে।
এসএসসি’র আইনজীবী কিছুটা বিব্রত হয়ে বলেন, ‘আরটিআইয়ের জবাবের বয়ানে ভুল রয়েছে। সিবিআইয়ের কাছ থেকে আমরা ওএমআরের যে স্ক্যান্ড কপি পেয়েছিলাম, সেখান থেকেই ওই চাকরিপ্রার্থীকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। আর নম্বর আমাদের ডেটাবেসে ছিল।’ জবাব শুনে বিরক্ত বিচারপতি বসাকের মন্তব্য, ‘আর কত ভুল করবেন? ২০২৪-এ এসেও ভুল করছেন!’
বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের তরফে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন নাম না করে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির সঙ্গে বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি এই দু’জনেরই রাজনৈতিক পটভূমি রয়েছে। তাঁর আরও বক্তব্য, এক জন বিচারপতি সিবিআইয়ের ছ’জন আধিকারিককে নিজের চেম্বারে ডেকেছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে বদলি করা হয়েছে। কারণ, তাঁরা বলেছিলেন, তাঁরা ওই বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত করবেন না।
এ দিন সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া নিয়োগ-দুর্নীতির নথি হায়দরাবাদ সিএফএসএলে পাঠানো হয়েছিল। তারা জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তারা সেগুলি পরীক্ষা করতে অপারগ। সেগুলি কলকাতার সিএফএসএলে পাঠানো হবে। সেগুলির প্রত্যয়িত কপি রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সেগুলি আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে।
এদিন ফের সিবিআইয়ের তথ্য নিয়ে এসএসসিকে তাদের মত জানাতে বলেন বিচারপতি। আদালতের প্রশ্ন, ‘আপনারা কি সিবিআইয়ের তথ্যের উপরে বিশ্বাস রাখছেন? আপনারা কি মনে করছেন যে এই ওএমআরগুলি ঠিক? সিবিআই যে তথ্য ও নথি আপনাদের দিয়েছে, সেগুলি কোথায় রেখেছেন? কমিশনের হার্ড ডিস্কে?’ এসএসসি’র তরফে জানানো হয়, সার্ভারে রয়েছে।
বিচারপতির বক্তব্য, নির্দিষ্ট করে বলুন যে হার্ড ডিস্কে আছে কিনা? কমিশনের বক্তব্য, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের তথ্য একটি কম্পিউটারে রাখা আছে, সেটাই সার্ভার। গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি’র তথ্য কম্প্যাক্ট ডিস্কে আছে।