CV Ananda Bose: কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের মুখে বোস – governor cv ananda bose faces student protests in calcutta university college street campus


এই সময়: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বুধবার প্রবল ছাত্র-বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আচার্য-রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সকাল সাড়ে দশটা থেকে লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভের জেরে নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরে পুলিশের সাহায্যে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেন রাজ্যপাল। ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে তাঁকে দেখতে হয় কালো পতাকা, শুনতে হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান।

ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি এবং ডিএসও’র বিক্ষোভে একটা সময় কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের কর্মসূচি। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে এই ছাত্র বিক্ষোভে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। অবশেষে ক্যাম্পাস ছেড়ে বেরোনোর মুখে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘আমার কনস্টিটিউশনাল কলিগ মুখ্যমন্ত্রী। আমি তাঁকে যে প্রমিস করেছি, তা রাখব। প্রমিস প্রমিসের জায়গায়। আইন আইনের জায়গায়। আইনে যা নির্দেশ আসবে মানা হবে।’

ঘটনা হলো, দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই রাজ্যপালকে উপচার্য নিয়ে সমস্যা মেটাতে হবে। প্রসঙ্গত, এ দিনই সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভালো আলোচনা হয়েছে।’

এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যপালকে প্রধান অতিথি করে আনেন তাঁর নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ভিসি শান্তা দত্ত। ক্যাম্পাসে ঢোকার পর সেনেট হলে তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানান শান্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস। বাইরে তখন প্রবল ছাত্র বিক্ষোভে ক্যাম্পাসে কান পাতা দায়।

টিএমসিপি’র নেতা অভিরূপ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘একের পর ডিপার্টমেন্ট টাকার অভাবে ধুঁকছে। কমন রুমে খেলার সামগ্রী নেই। স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিনে প্যাড নেই। হস্টেল বেহাল। অথচ রাজ্যপাল নিজের স্বার্থে মামলা লড়তে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। তাঁর বসানো উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড ফাঁকা করে তাঁকে তোষামোদ করছেন। এর বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ।’

ডিএসও’র কলকাতা জেলা সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি, রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের ক্ষমতা দখলের লড়াই বন্ধ করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হোক। জাতীয় শিক্ষানীতি এবং রাজ্য শিক্ষানীতি বাতিল করা হোক। চাই ছাত্র সংসদ নির্বাচন।’

বোসের কেসের খরচ কোথা থেকে? দেখবে তদন্ত কমিটি
এ দিন বাংলায় ভাষণ দেন বোস। নিজেকে ‘শিশু রাজ্যপাল’ দাবি করে বলেন, ‘আমি শিশু রাজ্যপাল। রাজ্যপাল হিসেবে আমার এক বছর মাত্র বয়স। বাংলা মা আমাকে সুরক্ষিত রাখবেন। ভুল করলে বাংলা মা কান মুলে দেবেন।’ রাজ্যপালের মুখে শোনা যায় দুর্নীতির প্রসঙ্গও। রাজ্যপালের দাবি, ‘দুর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাস ও শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে আমি শেষ পর্যন্ত লড়ব। বাংলার ১০ কোটি সাধারণ মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছেন।’

পাল্টা অভিরূপের প্রশ্ন, ‘একেই বলে গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল! বাংলার ১০ কোটি মানুষ যদি ওঁর সঙ্গে থাকে তা হলে আমরা কারা?’ বিক্ষোভ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে বোস বলেন, ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের ভাণ্ডার। গর্বের বার্তাবাহক।’ বিক্ষোভ দেখানো পড়ুয়াদের প্রশ্ন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য রাজ্যপালের ভিসন কোথায়? এ দিন তাঁর বক্তব্যে সেটা কেন পাওয়া গেল না?’ ভারপ্রাপ্ত ভিসি বলেন, ‘যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, আমার জানা নেই। পড়ুয়ারা অনুষ্ঠানে ছিলেন। সব রকম সাহায্যও করেছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *