শেখ শাহজাহান কোথায় যেতে পারেন, তা নিয়ে একাধিক তত্ত্ব উঠে এসেছে বিগত কয়েকদিনে। কেউ বলছেন তিনি এলাকাতেই আছেন, কেউ বলছেন তিনি সুন্দরবনের জলপথ পেরিয়ে বাংলাদেশ পাড়ি দিয়েছেন। কিন্তু, তিনি কোথায় গিয়েছেন, সেটা পরিষ্কার নয় রাজ্যের পুলিশ থেকে শুরু করে গোয়েন্দা কর্তাদের কাছেও। এর মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি করলেন অখিল গিরি।
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি দাবি করেন, চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বাইরে গিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় শ্রমিক মেলার উদ্বোধনে এসে অখিল গিরি বলেন, ‘পুলিশ হয়তো খুঁজে পাচ্ছে না। তবে অপরাধী ধরা পড়বে। শাহাজাহান অসুস্থ ছিলেন, তাই চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছেন।
ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে সমন সংক্রান্ত নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে এসেছে ইডি আধিকারিকরা। তাঁর বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে সমন নোটিশ জারি করে দেয় ইডি। তিনি ইডি অফিসে এসে আত্মসমর্পণ করবেন কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে আত্মসমর্পণের ব্যাপারে অখিল গিরি জানান, সেটা শেখ শাহজাহানের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে এর আগেও একাধিক জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ইডির কাছে তাঁরা সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। শেখ শাহজাহান সময় চেয়ে নিতে পারেন অসুবিধা থাকলে।
উল্লেখ্য, বুধবার প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা সহযোগে ইডি আধিকারিকদের একটি টিম শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যায় তল্লাশি করতে। বাড়ির তালা ভেঙে তল্লাশি চালানো হয়। এর আগে চলতি মাসের শুরুতেও তাঁর বাড়ি তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। জনরোষের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। বেশ কিছু ইডি আধিকারিক আঘাতপ্রাপ্ত হন। ভাঙা হয় তাঁদের গাড়িও। এরপর ফের বুধবার তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে সন্দেশখালির এই তৃণমূল নেতাকে খুঁজে যাচ্ছে ইডি আধিকারিকরা।