বৃহস্পতিবার দুপুরে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যার কাছে কামরাঙ্গাগুড়িতে উড়ালপুলে ঘটনাটি ঘটে। মহিলার নাম সুপ্রিয়া রায়। জানা গিয়েছে, স্বামী প্রদীপ দে-এর সঙ্গে সিপাইপাড়াতে বাপের বাড়িতে থাকেন সুপ্রিয়া। প্রদীপ দে পেশায় টোটো চালক। চার বছর আগে ২ জনের প্রেম করে বিয়ে হয়। সম্প্রতি একটি বিয়ে বাড়িতে কোনও বিষয়ে ঝামেলা হয় তাঁদের মধ্যে। সেই নিয়েই বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামী স্ত্রীয়ের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলার সৃষ্টি হয়। রাস্তার মধ্যেই তুমুল বচসায় লিপ্ত হন তাঁরা। সেই সময় অবশ্য স্বামীর টোটোতে করেই যাচ্ছিলেন ওই মহিলা।
এরপরেই কামরাঙ্গাগুড়িতে টোটো থেকে নেমে উড়ালপুল থেকে নীচে ঝাঁপ দেন মহিলা। রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এনজেপি থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকজন উড়ালপুলের নীচে বাজারে থাকা একটি দোকানে বসে কথা বলছিলেন। সেই সময়ই মহিলা উপর থেকে নীচে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে একটি টোটোতে উঠিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। মহিলার স্বামী প্রদীপ দে জানান, ঝামেলা চলছিল। স্ত্রী টোটো থেকে নেমে যান। এরপর বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ঝাঁপ দিয়ে দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২০২২ সালে কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত উড়ালপুল মা থেকে ঝাঁপ দেন এক ব্যক্তি। বছর ৬০ – এর এক ব্যাক্তি মা উড়ালপুলের ধারে গিয়ে ঝাঁপ দেন। ঘটনাস্থল থেকে অশোক ঘোষ নামে ওই আহত ব্যাক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তবে ওই ব্যক্তিকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তার আগের বছরও একই ঘটনা ঘটে মা উড়ালপুলে। মা উড়ালপুল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন আরও এক ব্যক্তি। মৃত ব্যক্তির নাম ঝন্টু কুমার দাস। তিনি রাজ্য সরকারি গাড়ির চালক চিলেন বলে জানা যায়। বারংবার এই ধরণের ঘটনার মা উড়ালপুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।