স্কুলে ঢুকে তাণ্ডব বহিরাগতদের, গুরুতর অভিযোগ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে|Outsiders allegedly barged into school and assaulted school teachers in Narendrapur


তথাগত চক্রবর্তী: স্কুলে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালাল বহিরাগতরা। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়াল এলাকা। অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেধড়ক মারধর করে বাইরের ওইসব লোকজন। তাদের মোবাইল, হেলমেট ভেঙে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। তারাই এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

আরও পড়ুন-নিজের কাছেই রাখলেন ট্রফি, পরপর দু’বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন সাবালেঙ্কার

শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে। কীভাবে ছড়াল উত্তেজনা? স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার জেরেই আজ স্কুলে ঢুকে পড়ে বেশকিছু বহিরাগত। তারা এসে শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রবল মারধর করে। স্টাফরুম ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘচনার জেরে স্কুলেই আটকে পড়েন শিক্ষক শিক্ষিকারা।

এদিকে, আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের মদতেই এমন বাড়াবাড়ি হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নির্যাতিতা ছাত্রীর মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, বহুদিন ধরে তার মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এনিয়ে স্কুলে বলতে এলে কিছু শিক্ষক আমার মুখ বন্ধ করে দিতে চাইছে। মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে চলে গিয়েছে। ও সব ঘটনা আমার কাছে খুলে বলে। স্কুলের মধ্যেই আমরা মেয়ে যৌন নিগ্রহের শিকার। মেয়েকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এনিয়ে পুলিস জানানো হয়। এনিয়ে তদন্তও হয়েছে।

এলাকার মানুষজন বলেন, এখানে কোনও দল বা গোষ্ঠীর কোনও সম্পর্ক নেই। যাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে পড়ে তারাই এসব করেছে। আমরা গিয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে বাইরে বের করে দিই। ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের ঘটনার তদন্ত করছে প্রশাসন। তার মধ্যেই স্কুলে কিছু শিক্ষক পড়য়াদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। এতেই মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে এসব করেছে। আমরা খবর পেয়ে প্রশসনকে খবর দিয়েছি। আমরা গিয়েও বিষয়টি রুখেছি। আইন আইনের পথে চলবে। আভিভাবকদের সঙ্গে আইসি ও হেডস্যারের কথা বলিয়ে দিয়েছি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *