শেখ শাহজাহানকে নিয়ে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শুধুমাত্র ‘অনভিপ্রেত ঘটনা’ বলেই দায় সেরেছেন। তবে দলের আরেক মন্ত্রী অখিল গিরি অবশ্য শুক্রবার জানিয়েছিলেন, শেখ শাহজাহান পশ্চিমবঙ্গের বাইরে গিয়েছেন তিনি। চিকিৎসা করাতেই তিনি বাইরে গিয়েছেন বলে দাবি করেন অখিল। তাঁর এই মন্তব্যের পর বিতর্কের ঝড় ওঠে।
এবার, একধাপ এগিয়ে শেখ শাহজাহানের কর্মকাণ্ড নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করলেন ফিরহাদ। তিনি এদিন বলেন, ‘শাহজাহান যা করেছে সেটা অন্যায় করেছে। আমি সব দেখেছি, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে (ইডি আধিকারিকদের) সরকারি আধিকারিকদের। যেটা করেছে, নিশ্চিত করে বলছি, অন্যায় করেছে।’ অর্থাৎ, শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের হেনস্থা হওয়ার ঘটনা এবং পরবর্তীকালে শেখ শাহজাহানের পলাতক হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন তিনি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও যেখানে কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা হেনস্থা হয়েছেন, সেই ইস্যুকে খাঁড়া করতে চাইছে বিরোধীরা। এমত অবস্থায়, দল আদৌ এই নেতার পাশে দাঁড়াবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ২৯ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তবে আদৌ তিনি সেখানে হাজিরা দেবেন কিনা, সে ব্যাপারে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তল্লাশি চালাতে যাওয়ার পর হঠাৎই ইডি আধিকারিকদের ঘিরে ধরেন স্থানীয় কিছু মানুষজন। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। এরপর থেকেই টানা ২২ দিন ধরে পলাতক রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহান। তিনি কোথায় রয়েছেন, সে ব্যাপারে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি রাজ্য পুলিশও।