শনিবার বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুলে উত্তেজনা ছড়ায়। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ স্কুলের শিক্ষক তারক দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র স্কুল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের পাশাপাশি বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে শিক্ষক-শিকিকাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মারধর করা অভিযোগ। শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। পাশাপাশি স্কুলের ভিতরে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রধান শিক্ষকের মদতে এই মারধরের ঘটনা বলে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা। যদিও প্রধান শিক্ষক ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। ঘটনা স্থলে যায় নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। কার্যত স্কুলের ভিতরেই আটকে পড়ে রয়েছেন আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আমাদের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এরকম একটি অভিযোগ উঠলে জনরোষ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এই অভিযোগ আদৌ সত্য কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষককে চিঠি পাঠিয়েছি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসছে না।
অন্যদিকে, স্কুলে ঢুকে পড়ে মারধর করার বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আমার কাছে স্কুলের কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা এরকম কোনও অভিযোগ করেননি। যদি কোনও শিক্ষক – শিক্ষিকা অভিযোগ করে থাকেন, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্কুলে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হলে প্রচুর পুলিশ বাহিনী হাজির হন স্কুলে। স্কুলের শিক্ষক – শিক্ষিকারা দীর্ঘক্ষণ স্কুলের মধ্যে আটকে থাকেন। ক্ষুব্ধ জনগণ তাঁদের বাইরে বের হতে বাধা প্রদান করে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।