আসন সমঝোতা আলোচনা সাপেক্ষ, তবে ইন্ডিয়া জোটে তো তৃণমূল কংগ্রেস আছেই, সেই বার্তা রাজ্যে এসে ফের পরিষ্কার করে দিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। আসন দুই পক্ষের সমঝোতার বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবেন, তবে ইন্ডিয়া জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, সে কথাই বোঝানোর চেষ্টা করলেন জয়রাম। ইন্ডিয়া জোটে থেকেও রাজ্যে আসন সমঝোতা না হলে জোটের শরিক হওয়ার যৌক্তিকতা কোথায়? তাই নিয়ে যদিও প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন উত্তরবঙ্গে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু হওয়ার আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে জয়রাম বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছেন তিনি ইন্ডিয়া জোটে আছেন। তৃণমূল কংগ্রেস যে এই জোটে আছেন, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।’’ জয়রামের কথায়, তৃণমূল কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য যেভাবেই হোক বিজেপিকে পরাস্ত করা। আমরাও সেই একই রাস্তায় হাঁটছি। এই জায়গায় দুই দলের পাখির চোখ একটাই।
তবে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা যখন ক্ষীণ হচ্ছে রাজ্যে, তখন জয়রাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে দুই দলের মধ্যে কথা হচ্ছে। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেই যৌথভাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানানো হবে। আমরা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, আসন সংখ্যার অঙ্কে আসন সমঝোতার জায়গা ক্রমশই অস্পষ্ট হচ্ছে রাজ্যে। তৃণমূল কংগ্রেসের ২টি আসন ছাড়ার দাবির বিরুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেস রাজ্যে অন্তত দশ থেকে বারোটি আসন নিয়ে নাছোড়বান্দা। কোনও পক্ষই আসন সংখ্যা নিয়ে ভারসাম্যমূলক জায়গায় আসার কোনও লক্ষণ দেখায়নি। উলটে, তৃণমূল কংগ্রেস যে দুটির থেকে বেশি আসন ছাড়ার পক্ষপাতি নয়, সেই বার্তা বারবার দেওয়া হয়েছে। এমনকি, মুর্শিদাবাদের দুটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা নেতৃত্বকে প্রস্তুতি সেরে রাখার ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী।
এমত অবস্থায়, নীতিশের প্রস্থানের পর ইন্ডিয়া জোট থেকে যাতে আর কোনও শরিক বেরিয়ে না যায়, সেই মরিয়া চেষ্টা রয়েছে কংগ্রেসেরও। যদিও, ইন্ডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করেননি। তবে আসন সমঝোতা আদৌ হবে কিনা, সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।