একই দিনে মালদা জেলায় মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী। আগামী ৩১ শে জানুয়ারি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার নিয়ে বিহার থেকে মালদা জেলায় প্রবেশ করবেন রাহুল গান্ধী। আর সেদিনই মালদা শহরের ডি এস এ ময়দানে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। আর একই দিনে দুই দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের সভা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
কী বলছে কংগ্রেস?
কংগ্রেসের দাবি, তাঁদের কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত। আর তা ভন্ড করতে ইচ্ছা করেই সেদিন মালদা জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে। আগামী ৩১ শে জানুয়ারি বিহারের কাঠিয়ার থেকে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া হয়ে ইংরেজ বাজারে আসবেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের যাত্রা মালদার সুজাপুরে থেকে ১ তারিখ মালদা থেকে মুর্শিদাবাদের পৌঁছবে। এর মাঝে ৩১ তারিখকেই ইংরেজ বাজারের ডিএসএ ময়দানে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা।
জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালিসাধন রায়ের অভিযোগ, তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আর সেই কারণে তাঁদের কর্মসূচি লণ্ডভণ্ড করার জন্য ইচ্ছে করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যতিব্যাস্ত করে তোলাই উদ্দেশ্য তৃণমূলের।
তৃণমূলের দাবি কী?
পাল্টা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘এই রাজ্যে কংগ্রেসর কোনও অস্তিত্ব নেই। রাহুল গান্ধী তাঁর নিজের কর্মসূচি করবেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব প্রশাসনিক সভা রয়েছে।’ দুজনেরই কর্মসূচি সমান্তরাল ভাবে চলবে বলেই দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি অনেকদিন আগে থেকেই ঠিক হয়ে থাকে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সেগুলি আগে থেকে প্রকাশ করা হয় না। স্বাভাবিকভাবেই, রাহুল গান্ধীর কর্মসূচি বানচাল করতে এই সূচি বানানো হয়েছে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূল থেকে সরে যাচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তৃণমূল আর সেই কারণেই কংগ্রেসের কর্মসূচির দিন ইচ্ছে করে প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে কটাক্ষ বিজেপি দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুবির।