স্কুলে ঢুকে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের মারধর করার ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আজ তাঁদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। মহেশ্বর নাড়ু ও সনু মণ্ডল নামে দুজনকে এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এই ঘটনায় স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার না করায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন তারা। এই ঘটনার তদন্তে নরেন্দ্রপুর থানায় এসেছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি। উপস্থিত আছেন এলাকার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। বৈঠক শেষে বেরিয়ে তিনি বলেন এই ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানান ঘটনার তদন্ত চলছে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যদিও, ধৃত দুই তৃণমূল কর্মী জানান, তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এবং এই ঘটনার সময় তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাদেরকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্কুলে হামলার ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ, বনহুগলী ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অলোক নাড়ু, পঞ্চায়েতের সদস্য ও বনহুগলী তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি আকবর আলি খান ও স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য মনিজুর রহমান এদের নাম দিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত শিক্ষকরা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাদের কেউ এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ।
শনিবার নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুলে হানা দেয় কিছু বহিরাগতরা। ওই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুল কোনও ব্যবস্থা নেই বলে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের উপরে হামলা চালায় তারা। স্কুলের একাধিক শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করা হয়। স্কুলের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে স্কুলে তাণ্ডব চালানো হয়। গোটা ঘটনায় অবাক হয়ে যান স্কুলের শিক্ষক – শিক্ষিকারা। যদিও এই ঘটনা নিয়ে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, স্কুলের যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাঁকে এর আগে স্কুলের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, সেই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসছেন না বলেও জানানো হয়।