সম্প্রতি নন্দীগ্রাম পল্লি উৎসবে গান গাইতে শোনা গিয়েছে রাজন্যাকে। কখনও তিনি গেয়েছেন জামাল কুদু, আবার কখনও লোকগীতিতে মন ভরিয়েছেন। কিন্তু, রাজনীতি-অভিনয় সবদিক সামলে গানের জন্য সময় পান? এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজন্যা।
তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর প্রথম চাক্ষুষ সাক্ষাৎ এবং গান একসূত্রে বাঁধা। সালটা ২০১৯, CAA-NRC-র প্রতিবাদে শহিদ মিনারের সামনে প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা। আর তাঁদের সেই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রথম তৃণমূল সুপ্রিমোকে গান শোনান রাজন্যা। আর সেই গান বেশ মনে ধরেছিল মুখ্যমন্ত্রীর। গান, শিল্প এবং শিল্পীর কদর করার জন্য সুখ্যাতি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সেই দিনের সুখ স্মৃতি চারণা করে রাজন্যা বলেন, ‘সেই সময় দিদি ইন্দ্রনীল সেনকে বলেছিলেন যদি তরুণদের নিয়ে কোনও ব্যান্ড করা যায়! তারপর তা হয়ে ওঠেনি কোনও কারণে। এরপর দিদি নিজেই ২০২৩ সালে যখন ধরনা হয়েছিল সেই সময় জয়ী ব্যান্ড তৈরি করে দিয়েছিলেন।’
অর্থাৎ গান এবং রাজনীতিকে এক সুতোয় বাধার কাজ যে দীর্ঘ সময় ধরেই করছেন রাজন্যা, তা স্পষ্ট। ফলে রাজনীতি, অভিনয় এবং গান-তিনটি ক্ষেত্রেই অবাধে তিনি বিচরণ করতে পারেন বলে জানান। অন্যদিকে, রাজনীতিবিদ মানেই গুরুগম্ভীর একটি ভাবমূর্তি থাকতে হবে, সেই প্রথা ভাঙছেন অনেকেই।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে তরুণ তুর্কিদের নতুন করে মাঠে ময়দানে নামাচ্ছে তৃণমূল। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা এবং নবীনদের উদ্যম-এই দুই অস্ত্রকেই সমানভাবে ব্যবহার করতে হবে, এমনটাই বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
সেক্ষেত্রে রাজন্যার কাঁধে কি কোনও বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? এই তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘যে ভূমিকায় আমাকে আগে দেখা গিয়েছে, এবারেও সেই ভূমিকায় দেখা যাবে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে, ময়দানে কর্মসূচিতে থাকব। মানুষের পাশে যেমন ছিলাম তেমন থাকব।’