Snake Rescued : মাঘেও ঘুম ভাঙছে সাপেদের, কালনায় উদ্ধার চার গোখরো – four gokhro snake rescued from kalna east satgachi area


এই সময়, কালনা: সাপেদের চরিত্র মাথায় রেখেই ‘শীত ঘুম’ কথাটি প্রচলিত। কিন্তু শীত মানেই যে সাপেদের নড়াচড়া একেবারে বন্ধ তা বলা যায় না। তার প্রমাণও মিলছে। মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে কালনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি পূর্ণবয়স্ক গোখরোকে। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কালনা শহরের অদূরে পূর্ব সাতগাছিয়ার কালীতলার একটি গোডাউন থেকে গোখরোগুলো উদ্ধার করেন সর্পপ্রেমী শিবেন্দ্রনারায়ণ সরকার। জারবন্দি চারটি গোখরো তিনি তুলে দেবেন বন দপ্তরের হাতে।

কালনার শ্যামরাইপাড়ার বাসিন্দা বছর ৭৫-এর শিবেন্দ্র শুক্রবার সকালে টিভিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান দেখছিলেন। তখনই খবর আসে পূর্ব সাতগাছিয়ার কালীতলার একটি গোডাউনে গোখরো সাপের দেখা মিলেছে। আতঙ্কে মানুষ ওই বিষধরটিকে মেরে ফেলতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছে যান শিবেন্দ্র। সাপ ধরার কাজে তাঁর সঙ্গী দুর্গাকে নিয়ে স্কুটিতে বেরিয়ে পড়েন তিনি।

গোডাউনে ঢুকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে তিনি বুঝতে পারেন, একটি নয় সেখানে রয়েছে তিনটি বড় আকারের গোখরো। দুর্গাকে নিয়ে একটি একটি করে সাপ জারবন্দি করে তিনি রওনা দেন বাড়ির পথে। কিন্তু মাঝ পথে আবার ফোন আসে তাঁর কাছে। তাঁকে জানানো হয়, আরও একটি গোখরোর খোঁজ মিলেছে সেখানে। ফিরে স্কুটি ঘুরিয়ে সেখানে পৌঁছে সেই গোখরোটিকেও জারবন্দি করেন শিবেন্দ্র।

এলাকার বাসিন্দা অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গোডাউন পরিষ্কার করা হচ্ছিল। তখনই বস্তার পিছনে একটি গোখরোর দেখা মেলে। শিবেন্দ্রবাবুরা আসার পর এক এক করে চারটি গোখরো উদ্ধার করা হয়েছে। এমন হাড় কাঁপানো শীতেও বিষধর সাপের দেখা মিলবে তা ভাবতে পারছি না।’

শিবেন্দ্র জানান, সম্প্রতি উদ্ধার করা কয়েকটি সাপ তাঁর কাছে রয়ে গিয়েছিল। বন দপ্তরের কর্মীরা এসে সাপগুলোকে নিয়ে গিয়েছেন। বলেন, ‘শীতের সময় সাপের দেখা পাওয়া একটু অস্বাভাবিক।’ তবে বন দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। পূর্ব বর্ধমানে ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, ‘প্রচণ্ড শীতেও সাপ বার হতে পারে।’

বন দপ্তরের এক প্রাক্তন আধিকারিক জানাচ্ছেন, সাধারণত সাপেরা শীতের সময়ে বাইরে আসে না কিন্তু, তার মানে এই নয় যে ওদের একেবারে দেখা যাবে না। প্রয়োজন পড়লে ওরা বেরিয়ে আসতেই পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *