আর সেই সৌজ্যনেই ওই নির্দিষ্ট এলাকাগুলোর বাতাসে ওইদিন বাতাসে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমেছে। এই তথ্য দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুইচ অন ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা। ওইদিন অন্য জায়গায় দূষণের মাত্রা সময়ের সঙ্গে ক্রমশ বেড়েছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট এবং যানবাহন থেকে দূষণের মাত্রা কীভাবে কমানো যায় সেই আর্জি জানিয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।

শহরের বাতাসে দূষণের মাত্রা কমানোর জন্য ভারী পণ্যবাহী যানবাহনের উপর বিধিনিষেধ চালু করার আর্জি জানিয়েছে সংগঠনটি। তাদের আর্জি, শীতের সময়ে যেহেতু দূষণের মাত্রা বাড়ে, তাই দিল্লির গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (গ্রাপ) কলকাতাকেও চালু করা উচিত। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে ১৫ বছরের বেশি বয়সী যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে এবং সেগুলির স্ক্র্যাপিংয়ের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, বায়ু দূষণের ফলে কী কী ক্ষতি হয় সে বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে আরও বেশি করে প্রচারমূলক কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে ওই সংগঠনটি।
সেই সঙ্গে বায়ু দূষণের মাত্রা কমানোর জন্য পরিবেশবান্ধব যানবাহনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে হবে। সরকারি প্রয়োজনেও পরিবেশবান্ধব গাড়ি ব্যবহার করতে হবে, মত সংগঠনটির। সংগঠনের তরফে বিনয় জাজু বলেন, ‘ডিজেল-পেট্রোলচালিত গাড়ি থেকে দূষণ বাড়ছে এটা প্রমাণিত। সে কারণেই সাইকেল এবং বিদ্যুতচালিত গাড়ি ব্যবহার করাটা জরুরি। সেটা না করলে দূষণের মাত্রা ঠেকানো সম্ভব নয়।’