Banyan Tree Arrested,খুন! ১০০ বছরের জন্য গ্রেপ্তার বটগাছ – banyan tree arrested for 100 years in dooars fun city


রনি চৌধুরী, জলপাইগুড়ি

গাছও কমিউনিকেট করে। সম্প্রতি গাছেদের নিজেদের মধ্যে কথা বলার ‘রিয়েল টাইম ফুটেজ’ প্রকাশ করেছেন জাপানের একদল বিজ্ঞানী। কিন্তু গাছেরাও কি অপরাধ করে? কাছাকাছি বেড়ে ওঠা একটি রাধাচূড়া গাছকে নাকি ‘খুন’ করেছে আস্ত একটি বটগাছ। সেই অভিযোগে মানুষের আদালতে তাকে একশো বছরের জন্য বন্দি করা হয়েছে ডুয়ার্সের ফানসিটিতে।

গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে ফানসিটি পুলিশের তরফে একটি ফলক লাগানো হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘গাছটিকে পুলিশ ১০০ বছরের জন্য গ্রেপ্তার করল। অন্য একটি গাছকে হত্যা করেছে এই গাছ। তার জায়গা কেড়ে নিয়ে নিজে বেড়ে উঠেছে। গ্রেপ্তারের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২৪। মুক্তির তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২১২৪।’ শিকলে বাধা সেই বটগাছের ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়েছে জলপাইগুড়ির ফানসিটি নামে একটি পর্যটন কেন্দ্রে।

১২৬ বছর আগে এমনটাই ঘটেছিল পাকিস্তানে। জেমস স্কুইড নামে এক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তার নির্দেশে পেশোয়ারের ল্যান্ডি কোটাল সেনা ছাউনিতে একটি বটগাছকে শিকল দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। একশো বছরের বেশি সময় পরেও গাছটি এখনও শৃঙ্খলিত। ওই গাছে ঝোলানো একটি বোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘আমি গ্রেপ্তারের মধ্যে আছি।’

কিন্তু, ভারতে এরকম নজির কোথাও নেই বলেই মত পরিবেশবিদদের। গাছের গ্রেপ্তারির খবরে মানুষের ঢল নেমেছে ফানসিটিতে। রবিবার কলকাতা থেকে এসেছিলেন পিঙ্কি রায়। তিনি বলেন, ‘এ ছবি আগে কোথাও দেখিনি। আমি সত্যিই অবাক।’ ফান সিটি পুলিশ বলে আদতে কিছু নেই। এটা নেহাতই চমক। ফান সিটি একটি বেসরকারি রিসর্ট। শিলিগুড়ি থেকে ধূপগুড়ি হয়ে বানারহাট পার করে আপার কলাবাড়ি এলাকায় ডায়না নদীর পাশে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্র।

গাছও কমিউনিকেট করে, জানাল রিয়েল টাইম ফুটেজ
সড়কপথে দূরত্ব প্রায় ১২৯ কিলোমিটার। শিলিগুড়ি থেকে মালবাজার নাগরাকাটা হয়েও এই পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া যায়। গ্রাম্য পরিবেশে তৈরি ওই রিসর্টে পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে ২২টি আবাস। ওই রিসর্টের কর্মীদেরই পুলিশ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, যাঁরা গাছটিকে শিকলবন্দি করেছেন। ফানসিটির কর্ণধার শেখ জিয়াউর রহমানের যুক্তি, ‘মানুষ যদি মানুষকে খুন করে তাহলে তো সাজা হয়। গাছেদের ক্ষেত্রে কেন হবে না? সেই ভাবনা থেকেই আমরা অবাঞ্ছিতভাবে বেড়ে ওঠা বটগাছকে গ্রেপ্তার করেছি।’

যদিও তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের মতে, পর্যটনকেন্দ্রে আরও বেশি করে লোকজন টানতে এমনটা করেছেন ফানসিটির কর্ণধার। ডুয়ার্সের ন্যাসের কর্মকর্তা আফসার আলি বলেন, ‘প্রকৃতির নিয়মে একটি গাছ বড় হলে আরেকটি গাছ মারা পড়বে। এটাই স্বাভাবিক। তবে এ ভাবে কোনও গাছকে শিকলে বেঁধে রাখা ঠিক নয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *