Chhau Dance : পুতুল ও ছৌ-নাচে মাতল শ্রীরামপুর – serampore residents crowd gathered to watch puppetry and chhau dance


এই সময়, শ্রীরামপুর: ডাঙের পুতুল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন নাটক। তার সঙ্গে ছৌ-নাচ। পুতুল নাচ এখন আর তেমন ভাবে দেখা যায় না। কিন্তু শুক্রবার এই পুতুল নাচ কিংবা ডাঙের হরেক রকমের পুতুল নিয়ে নাটক দেখতে আসরে এসেছিলেন বহু মানুষ। শৈশবের স্মৃতি উস্কে দিয়ে পুতুল নাচ ও ছৌ-নাচের জমজমাট আসর বসেছিল শ্রীরামপুরে।

প্রজাতন্ত্র দিবসে শ্রীরামপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে আয়োজিত পুতুল ও ছৌ-নাচ দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান। ভিড়ের চাপে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায় নেতাজি সুভাষ অ্যাভিনিউর মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। ভিড় সামলাতে ময়দানে নামতে হয় পুলিশকে। কিন্তু ছোটবেলার পুতুল নাটক দেখার উচ্ছ্বাস আবেগের কাছে পুলিশও দর্শকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায়।

বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে পুতুল নাটক প্রদর্শন করতে এসেছিল সহজ পুতুল দলের সদস্যরা। মূলত ডাঙের পুতুল ব্যবহার করে ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি’ নাটক পরিবেশন করা হয়। পুতুল নাটক চলার মাঝেই দর্শকদের করতালিতে চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে। দর্শক আসনে কচিকাঁচাদের সঙ্গে অনেক প্রবীণ মানুষ পুতুল নাটক দেখতে সেখানে হাজির হন। ফেলে দেওয়া কার্ডবোর্ড, বাতিল জামাকাপড়, প্যাকিং বাক্স দিয়ে কলাকুশলীরা পুতুল তৈরি করেন। বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য, গোবিন্দ সাহানা, চন্দন হালদারের মতো পুতুল নাটকের শিল্পীরা দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাব দেখে খুবই খুশি হয়েছেন।

বিশ্বরূপ বলেন, ‘আমরা এ বার ডাঙের পুতুল নিয়ে খেলা দেখিয়েছি। মূলত ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে আমরা পুতুল তৈরি করি। শিল্পীর দুই হাতকে ব্যবহার করে পুতুল নাটক পরিবেশন করা হয়। আমরা আট জন পুতুল খেলা দেখাতে এসেছিলাম। আমরা আলাদা আলাদা পেশার সঙ্গে যুক্ত হলেও পুতুল নাটক আমাদের কাছে নেশার মতো। আমরা লোকশিক্ষার জন্য শ্রীরামপুরে পুতুল নাটক পরিবেশন করেছি।’

পুতুল নাটক দেখে আপ্লুত রিনা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ছোটবেলায় শ্রীরামপুরে ক্ষেত্রমোহন শাহের মেলা বাড়িতে পুতুলনাচ দেখেছি। প্রায় চল্লিশ বছর পর আবার দেখলাম। এক কথায় অপূর্ব।’ পুরুলিয়া থেকে এসেছিল ছৌ-নাচের দল। তাঁরাও দর্শকদের আনন্দ দেয়।

উদ্যোক্তা তথা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্তোষকুমার সিং বলেন, ‘শীতের মরশুমে চার দিকে বিচিত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাঝে পুতুল ও ছৌ-নাচ এখন সমান জনপ্রিয়। এটা ভিড় দেখে প্রমাণিত। আমরা খুব উৎসাহী।’ আগামী দিনে বড় করে পুতুল নাচের আসর বসিয়ে শহরবাসীর সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণ করা হবে বলে তিনি জানান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *