Gadiara Tourist Spot : গাদিয়াড়া স্ট্যান্ডে অমিল সরকারি বাস পরিষেবা, ক্ষোভে ফুঁসছেন পর্যটকরা – gadiara tourists facing problem for not getting bus service from newly opened bus stand


গাদিয়াড়া! নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুবিস্তৃত জলরাশি। সারা বছর হাজার হাজার পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। পর্যটকদের সুবিধার জন্যেই তৈরি হয়েছিল নতুন বাস স্ট্যান্ড। তবে ওই পর্যন্তই। নতুন বাস স্ট্যান্ড হলেও দেখা নেই নতুন যাত্রীবাহী বাসের। কার্যত, ফাঁকাই পড়ে থাকে বাস স্ট্যান্ড। সমস্যা রয়েই গিয়েছে পর্যটকদের।

অমিল বাস পরিষেবা

শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর এই পর্যটন কেন্দ্রে কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল নতুন বাসস্ট্যান্ড। তবে শুধু বাসস্ট্যান্ড নয়, এর পাশাপাশি বিশ্রামাগার শৌচালয়, স্নানাগার নির্মাণও করা হয়েছিল। শ্যামপুরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকদের আশা ছিল গাদিয়াড়ায় নতুন বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ হওয়ায় সরকারি বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। যদিও তাদের সেই আশাতে জল ঢেলে দিয়ে প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও গাদিয়াড়া রুটে নতুন কোনও সরকারি বাস চালু হল না। ফরে ফাঁকাই পড়ে থাকে এই বাসস্ট্যান্ড।

এমনকি এই রুটে যে কয়েকটি বেসরকারি বাস চলে, তারাও বাসস্ট্যান্ডে না দাঁড়িয়ে দূরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই বাসস্ট্যান্ড এখন জিনিসপত্র রাখার জায়গা হয়ে দাড়িয়েছে। রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হাওড়ার শ্যামপুরের গাদিয়াড়া। নদী তীরের শোভা দর্শন করতে সপ্তাহান্তে ছুটি কাটাতে পর্যটকরা ভিড় জমায় এই পর্যটন কেন্দ্রে। কিন্তু, বাসের অভাব থাকার কারণে ক্ষোভ জমছে পর্যটকদের মধ্যে

কোটি টাকা ব্যয়ে স্ট্যান্ড নির্মাণ

পর্যটকদের সুবিধার্থে কলকাতার সঙ্গে গাদিয়াড়ার সরাসরি যোগাযোগ করতে এই রুটে আরোও সরকারি বাস চালানোর পরিকল্পনা করা হয়। সেইমত গাদিয়াড়ায় একটি নতুন অত্যাধুনিক বাস তৈরি পরিকল্পনা করা হয়। ২০১৭ সালে বাসস্ট্যান্ডের শিল্যান্যাস করার পর পরিবহণ দফতর ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যায়ে বাসস্ট্যান্ডটি নির্মাণ করে। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে গাদিয়াড়া বাসস্ট্যান্ড উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যদিও তারপর থেকে বাসস্ট্যান্ড ফাঁকাই পড়ে আছে।

এলাকার বাসিন্দাদের মতে, বাস পরিষেবা না থাকায় বাসস্ট্যান্ড ফাঁকাই পড়ে আছে। এই প্রসঙ্গে শ্যামপুর গণতান্ত্রিক নাগরিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক উত্তম রায়চৌধুরী জানান গাদিয়াড়ার সঙ্গে কলকাতার সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় নেই বললেই চলে। তিনি জানান, বাস পরিষেবা না থাকার কারণেই বাসস্ট্যান্ড ফাঁকা পড়ে থাকছে। অন্যদিকে, কলকাতা গাদিয়াড়া সরকারি বাস পরিষেবা না থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শ্যামপুরের বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল জানান, সিটিসি বাস পরিষেবা চালু নিয়ে একাধিবার পরিবহন দপ্তরকে বলা সত্বেও কোন কাজ হয়নি। তবে সিটিসি বাস পরিষেবা চালু হয়ে গেলে সমস্যা মিটে যাবে বলে জানান কালীপদ মণ্ডল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *