Nia Investigation,কার নির্দেশে বিস্ফোরক পাচার? NIA-এর নজর কল রেকর্ড – nia investigation on explosives smuggling case in birbhum mohammad bazar


এই সময়: বীরভূমের মহম্মদবাজারে বিস্ফোরক পাচার মামলায় কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কি কেউটের সন্ধান পেতে চলেছে এনআইএ? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তাদের হাতে এসেছে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকটি কথোপকথনের রেকর্ড। সেই অডিয়ো বার্তায় চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে এলেও, সেই কণ্ঠস্বর কাদের, তা এখনও নিশ্চিত নয় এনআইএ।

সেই কণ্ঠস্বর যাচাইয়ের জন্য ধৃত তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুরীর ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করল এনআইএ। এর পর, আরও কয়েকজনের ভয়েস স্যাম্পল নেওয়া হতে পারে বলে এনআইএ সূত্রে খবর। গোরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের সঙ্গে ইসলাম চৌধুরীর যোগসাজশ ছিল, এই সন্দেহে সেহগলকে তিহাড় জেলে গিয়ে জেরা করেছে এআইএ।

বিস্ফোরক পাচারের ‘সেফ রুট’ খুঁজে দিতেই সেহগলের সঙ্গে চক্রের পান্ডাদের কথা হতো কি না, অথবা কারও নির্দেশে সেহগল ফোনে কাউকে বিশেষ বার্তা দিতেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারী অফিসারেরা। এনআইএ-র দাবি, তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে, টাকার বিনিময়ে বিস্ফোরক আদান-প্রদানের ‘সেফ প্যাসেজ’ তৈরি করে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ইসলাম চৌধুরী।

আদালতের নির্দেশে ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করার পর, তা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া মোবাইলের কল রেকর্ডের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হবে। এই ঘটনায় বীরভূমের এক প্রভাবশালীর ভূমিকা থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

২০২২ সালের জুন মাসে বীরভূমের মহম্মদবাজারে তল্লাশি চালিয়ে একটি গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। জিজ্ঞাসাবাদের পরে আরও ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিলেটিন স্টিক এবং ২ হাজার ৩২৫টি ডিটোনেটর উদ্ধার হয়েছিল।

এনআইএ তদন্ত ভার নেওয়ার পর পেশায় এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থী মনোজ ঘোষকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ইসলাম চৌধুরীর নাম উঠে আসে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *