করোনার সময়ে রাজ্যে পরিবহণ কর আদায়ে ধাক্কা আসে। তখন থেকে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত গাড়ির কর বাবদ বকেয়া থাকে বিপুল অঙ্কের টাকা। সেই বকেয়া কর আদায়ে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর ‘ওয়েভার স্কিম’ বা জরিমানায় ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী সময়ে রাজ্যে পরিবহণ কর আদায়ে বড় ঘাটতি ছিল। এবার বাংলায় পরিবহণ পরিষেবা আরও চাঙা করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। শুধু একটি নির্দিষ্ট জেলা নয়, বকেয়া কর জমা দিতে গোটা রাজ্যের মানুষই আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আমরা মনে করছি, বকেয়া কর আদায়ে রাজ্য নজির তৈরি করবে।’
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কর আদায়ে প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা, দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে শিলিগুড়ি। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান ও হাওড়া। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। জেলা পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাড়ির রোড পারমিট, রোড ট্যাক্স ও ফিটনেস সংক্রান্ত বিষয়ে কর বাকি থাকলে জরিমানা মকুব করা হবে।
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কর জমা দিলে জরিমানায় মিলবে একশো শতাংশ ছাড়। আর ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কর জমা করলে জরিমানায় ছাড় মিলবে ৮০ শতাংশ। এর ফলে বকেয়া কর জমা দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজার ৭১১টি গাড়ির ক্ষেত্রে এই কর আদায় হয়েছে।
জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক গোবিন্দ নন্দী বলেন, ‘রাজ্য সরকারের ওয়েভার স্কিমে জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে জরিমানা মকুব করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকে এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলা রেকর্ড পরিমাণ কর আদায় করেছে। জেলা পরিবহণ দপ্তরে সরাসরি কর প্রদানের পাশাপাশি অনলাইনেও কর জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।’