বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এ কে আর্থ জানান, এরকম কোনও পরিচয় পত্র দিচ্ছে না বিএসএফ। বিএসএফ হল ভারত-বংলাদেশ এবং ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা বাহিনী। তাঁদের সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় বিএসএফের তরফে।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় কেউ নকল আধার কার্ড করাচ্ছে। বিএসএফ একটি নির্দিষ্ট গেট পাস দিয়ে থাকে। সেই পাস দিয়ে কিছু মানুষ ওপর প্রান্তে যেতে পারে। অনেক মানুষ ওপারে গিয়ে চাষবাস করে আবার চলে আসে। মূলত, নো ম্যানস ল্যান্ডে যাঁরা থাকেন, তাঁদের অনেকের জমি রয়েছে ওপারে। সেখানে তাঁরা চাষবাস করতে যান। সেই কারণে তাঁদের এই গেট পাস দেওয়া হয়।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের সীমানা পেরিয়ে যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে না পারে সেই কারণে এই গেট পাসের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, কাউকে আলাদা করে কোনও পরিচয় পত্র দেওয়া হয় না। এমনকি, বিষয়টি সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, কোচবিহারের একটি সভা থেকে বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স একটি কার্ড দিচ্ছে। সেই কার্ড নিলেই এনআরসি-র আওতায় পড়তে হতে পারে।’ এরপরেই সভায় আগত দর্শকদের উদ্দেশে কার্ড না নেওয়ার জন্য বারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই জোর আলোচনা শুরু হয় বিষয়টি নিয়ে। সেই বিষয়েই এদিন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিএসএফ। উল্লেখ্য, এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইনের বরাবরই প্রতিবাদ করে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কোচবিহারের সভা থেকেও এর বিরোধিতা করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই নতুন এই কার্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।