শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে এদিন ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল?
এদিন রাজ্যপাল বলেন, ‘আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। ধৈর্য্য ধরুন। আইনকে আইনের পথে চলতে দিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তকারী সংস্থাদের সময় দেওয়া হোক তদন্তের জন্য। তারা ব্যর্থ হলে আমি হস্তক্ষেপ করব।’
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান কার্যত বেপাত্তা। তাঁর হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। রেশন দুর্নীতিতে তদন্তের জন্য সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন ED আধিকারিকরা। সেখানেই শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ED-র উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আহত হন তিনি ED আধিকারিক। এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা শেখ শাহজাহান।
বাংলার দুই শত্রু হিংসা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকলকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা না হয় সেই জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শেখ শাহজাহান। আইনজীবী মারফত আবেদন করেছেন তিনি। যদিও শেখ শাহজাহান এখন কোথায়? তার কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
শেখ শাহজাহানের কোনও হদিশ না মেলা নিয়ে সরব বিরোধীরা। এরই মধ্যে রাজ্যপালের এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ‘হিংসা ও দুর্নীতির’-র বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াই করার ডাক রাজ্যপালের। এদিন পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ অপরাধী হলে তার শাস্তি হবে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পুলিশ প্রশাসন সেই ব্যবস্থা করে। এর বাইরে অন্য কেউ কিছু বললে তাতে আমার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।’
এদিন বাংলা প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, ‘সবকো সম্মতি দে ভগবান আজকের দিনে এই বার্তাই দিতে চাইব। বাংলার দুই শত্রু হিংসা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকলকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে।’ দুর্নীতি ইস্যুতে এক হয়ে রাজ্যপালের লড়াই করার বার্তাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে রাজভবনে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।