সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সমাধান কর্মসূচির একটি শিবিরে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য জমা পড়া আবেদনপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে বিডিও জাল শংসাপত্রের হদিস পেয়েছিলেন। সেটা নিয়ে খোঁজখবর করতে গিয়েই কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এ দিকে, জাল সার্টিফিকেটের খবর চাউর হতেই স্থানীয়রা সতর্ক হয়ে যান। এর পরেও একটি গ্রামে টাকার বিনিময়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এমনকী, সুস্থ মানুষদেরও শংসাপত্র করে দেওয়ার টোপ দিয়ে একজন প্রচার শুরু করতেই গ্রামবাসীরা তাঁকে আটকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। স্থানীয় স্তরের সেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তারের পরেই আরও এক তৃণমূলকর্মী-সহ জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত একজন হোমগার্ডকে গ্রেপ্তার হয়।
বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল প্রচুর জাল শংসাপত্র, আবেদনপত্র ও কম্পিউটার ও ছাপার যন্ত্র। এবার তাদের জেরা করে গ্রেপ্তার হলো। ধৃতদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তদন্ত যত এগোচ্ছে চক্রটির গভীরতা ততই সামনে আসছে । গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি প্রশাসনিক তদন্তও শুরু হয়েছে।