গত ২৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন। নতুন হারে ডিএ সহ বাড়তি অঙ্কের বেতন অ্যাকাউন্টে ঢোকায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তাঁরা। গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্তও ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত মাসের ঘোষণার পর এ মাস থেকে শুরু হল ১০ শতাংশ হারে ডিএ। এদিন সকালেই অধিকাংশ রাজ্য সরকারি কর্মচারীর মোবাইল স্ক্রিনেই ভেসে উঠেছে ব্যাঙ্ক থেকে পাঠানো বেতনের মেসেজ।
সাধারণত প্রতি মাসের ২৮ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যেই সেই মাসের মাইনে কর্মচারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়ে যায়। গত ২৯শে ডিসেম্বরের পর আজ ৩০শে জানুয়ারি মাইনে পেলেন তাঁরা। সকাল সকাল বেতন অ্যাকাউন্ট ক্রেডিটেড হয়ে যাওয়ায় বহু ব্যস্ত কর্মচারী অফিস যাওয়ার পথেই প্রয়োজনে হাতে ক্যাশ পেয়ে যান, অর্থাৎ দিনভোর অপেক্ষায় থাকতে হয় না।
কর্মচারীদের বেসিক মাইনের উপর ডিএ হিসেব হয়। এ মাস থেকে যে যাঁর বেসিক মাইনের ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। যেমন, ধরা যাক, রাজ্যের গ্রুপ ডি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেসিক ১৭,০০০ টাকা। নতুন হারে তাঁরা তাই ন্যূনতম ১৭০০ টাকা ডিএ হিসেবে পাবেন। ঠিক একইভাবে রাজ্যের গ্রুপ সি কর্মচারীরা পাবেন ন্যূনতম ২২৭০ টাকা। গ্রুপ এ কর্মচারিদের ক্ষেত্রে আবার ভাগ রয়েছে। এই গ্রুপে ন্যূনতম বেসিক মাইনের দু-তিনটি স্তর রয়েছে। রোপা ২০১৯-র পে ম্যাট্রিক্স অনুযায়ী, ন্যূনতম ৩৯,৯০০ টাকা বেসিক মাইনে যে লেভেলের, তাঁরা যেমন ডিএ পাবেন ন্যূনতম ৩৯৯০ টাকা তেমনি ৫৬,১০০ টাকা বেসিক হলে ডিএ পাবেন ৫৬১০ টাকা। দুই লেভেলই গ্রুপ -এ এর মধ্যেই পড়ে। তবে প্রতি গ্রুপেই কর্মচারীদের চাকরির বয়স অনুযায়ী তাঁদের বেসিক মাইনে নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে বাড়তে থাকে। তাই নতুন হারে ডিএ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একই গ্রুপের সকল কর্মচারীরই যে একই টাকার অঙ্ক বাড়বে, তা নয়।
তবে দেখা গিয়েছে, গড়ে ৯০০ টাকা বেড়েছে। যদিও কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, এই বাজারে সামান্য ওই কটা টাকা বাড়িয়ে কী লাভ হবে? আর এটা তো প্রাপ্য। রাজ্য আর কেন্দ্রের ফারাক সেই থেকেই যাচ্ছে।