ED News : বিয়ের আগেই পর্দাফাঁস ‘ভুয়ো’ ইডি অফিসারের, সিজিওর সামনেই উত্তমমধ্যম দিল মেয়ের পরিবার – mob beaten a man in front of cgo complex and alleges that he is a fake ed officer


এক ব্যক্তিকে ভুয়ো ইডি অফিসার সন্দেহে গণপ্রহার উত্তেজিত জনতার। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকে ইডি অফিসের বাইরে। আহত অবস্থায় অভিযুক্তকে গাড়িতে করে নিয়ে যান অভিযোগকারীরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরবেলায় হাত বাঁধা ও গলায় ইডির ভুয়ো আই কার্ড ঝোলানো অবস্থায় এক ব্যক্তিকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন একদল ব্যক্তি। অভিযোগ, নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি তাঁদের পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে করার ফন্দি আঁটেন। এমনকী অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই পরিবারের থেকে টাকা নিয়েছে বলে দাবি করেন অভিযোগকারীরা। সল্টলেকে ইডি অফিসের সামনেই অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম প্রদীপ সাহা। তিনি সোনারপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, বিরাটির বাসিন্দা একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ হয়। এরপর তাদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ে এবং অভিযুক্ত প্রদীপ সাহা নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এমনকি মেয়েটির সঙ্গে প্রদীপ সাহার বিয়ের কার্ড পর্যন্ত ছাপা হয়ে গেছে। এরপর মেয়েটির পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হওয়ায় তারা সল্টলেকে ইডি দফতরে গিয়ে ওই ব্যক্তির সম্বন্ধে খোঁজ নিলে জানতে পারে, ওই নামে কেউ ইডির অফিসে কাজ করেন না।

এরপরই মঙ্গলবার প্রদীপ সাহাকে বেঁধে নিয়ে তাঁরা উপস্থিত হন সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডির অফিসে। ইডি অফিসের বাইরে অভিযুক্ত প্রদীপ সাহাকে মারধর করতে থাকেন তাঁরা। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বুঝতে পেরে রক্তাক্ত অবস্থায় অভিযুক্তকে গাড়িতে করে ইডি দফতরের সামনে থেকে নিয়ে চলে যায় মেয়েটির পরিবার।

ঘটনায় মেয়েটির আত্মীয় উত্তম সাহা বলেন, ‘আগামীকাল মেয়েটির বিয়ে, আমরা জানতে পারার পর ওকে (প্রদীপ সাহা) ডাকি। ওকে জিজ্ঞাসা করি। ও স্বীকার করেছে যে ওর সবটাই ভুয়ো। ও কোনও ইডি অফিসার নয়। আরও ৩টি পরিবারকে ফাঁসিয়েছে বলেও স্বীকার করেছে। আমরা গতকাল রাতে এখানে এসে খোঁজ নিয়ে যাই। জানতে পারি এই নামে এখানে কেউ কাজ করে না। তখন সন্দেহ হওয়ায় আমরা ওকে ডেকে আনি। ও পালিয়ে যাচ্ছিল, তারপর ওকে ধরে নিয়ে এসেছি।’ তবে প্রদীপকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তম সাহারা। এদিকে প্রদীপ সাহার দাবি তিনি কিছু করেননি। বরং মেয়ের বাড়ি থেকেই তাঁর গলায় ইডির কার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পালটা দাবি প্রদীপের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *