রীতিমত লাইন দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে প্যাভেলিয়নে। ব্যাপক ভিড় সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হলেও, যেসব প্রকাশনা সংস্থা স্টল দিয়েছেন তাদের কেমন হচ্ছে বইয়ের বিকিকিনি? খোঁজ নিতেই জানা গেল, যে পরিমাণ ভিড় হচ্ছে সেই অনুযায়ী বিক্রি অনেকটাই কম। অধিকাংশ মানুষই আসছেন বিভিন্ন সাহিত্যিককে বই হাতে নিয়ে দেখতে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনার সংস্থার স্টল ঘুরে দেখতে। আর আকর্ষণের সবচেয়ে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রিকশ, যার সঙ্গে ছবি তুলতেও ভিড় করছেন অনেকে।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌছেছে। হাতে আর মাত্র এক দিন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বইমেলাকে কেন্দ্র করে যে পরিমাণ বই বিক্রি করে লাভের আশা করেছিল বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থাগুলি, সেই পরিমাণ বিক্রিবাটা হয়নি বলেই জানাচ্ছে তারা। তাই কিছুটা হলেও হতাশ। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে মোট ৪৫টি প্রকাশনা সংস্থা নিজেদের সাহিত্য সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে। প্যাভিলিয়নের ভিতরে প্রতিটি স্টলে ভিড়ও হচ্ছে। কেউ শুধু বিভিন্ন বই দেখেই ফিরে যাচ্ছেন, কেউ আবার তার পছন্দের লেখকের বই না পেয়ে পরের বছর সেইসব লেখকের বই আনার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে কেউ কেউ অবশ্য পছন্দের বইটি সংগ্রহ করছেন। প্রতিবারের মত এবারেও হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের ব্যাপক চাহিদা দেখা গিয়েছে।
তবে একথা এক বাক্যে সকলেই স্বীকার করছেন যে, এই বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে ঢাকার রিকশ। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে প্রবেশের জন্য লম্বা লাইন দিতে হচ্ছে পাঠকদের। সব মিলিয়ে ভারতেও বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের লেখার কদর অনেকটাই বেড়েছে বলেই মনে করছেন বই প্রেমীরা। আর এবারের থিম ঐতিহ্যবাহী রিকশা, বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নকে বইমেলায় করে তুলেছে রীতিমত হিট।
হাতে বাকি রয়েছে আর মাত্র একদিন। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাকি সময়টুকুতে বইমেলায় ভিড় আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থাগুলির আশা যদি শেষ বাজারে কিছুটা হলেও বাড়ে বিক্রি।