Kunal Ghosh : ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজের রাজনৈতিক উইশলিস্ট প্রকাশ করে ফেলেছেন’, তোপ কুণালের – kunal ghosh reacts after education related cases has been shifted from justice abhijit ganguly bench


শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও মামলার শুনানি আর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হবেন না। মঙ্গলবার একটি নির্দেশ দিয়ে এই কথা জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য হাইকোর্টে সমস্ত বিচারপতিরই বিচার্য বিষয়গুলি নির্দিষ্ট করা থাকে। আর সেই মোতাবেক এতদিন পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা শুনতেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এবার তাঁর এজলাস থেকে মামলাগুলি সরিয়ে নেওয়া হল। এবার থেকে মামলাগুলির শুনানি হতে চলেছে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে। এর বদলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শ্রম ও শিল্প আইন সংক্রান্ত মামলাগুলি শুনবেন।

এরপরেই বিভিন্ন মহলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এর আগেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছিল কুণাল ঘোষকে। বিচারপতির রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এরপর প্রাথমিক মামলাগুলি তাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করলেন কুণাল ঘোষ।

ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ?

এদিন পুরোটিই ‘কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক বিষয়’ বলে উল্লেখ করেন কুণাল। তাঁর কথায়, ‘এটা কোর্টের প্রশাসনিক বিষয়। সেগুলি দেখার মতো। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি যা মনে করেছেন সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে খুশি অখুশির কোনও বিষয় নেই। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার তাঁর রাজনৈতিক উইশ লিস্ট প্রকাশ করে ফেলছেন। তিনি নিজেও এই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ছিলেন। ফলে তাঁর ব্যক্তিগত আক্রোশ বা রাজনৈতিক মতামত কাজ করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তিনি নিজেই নিজেকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন আগেও।’

এদিন কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এমন রায় দিয়েছেন যে আন্দোলনকারীদের চাকরি পাওয়ার রাস্তা আরও জটিল করেছে। কারণ তিনি তাঁদের সমস্যার সমাধানের বদলে কী ভাবে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিদের জটিলতায় ফেলা যায় সেই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এই বিষয়টি চাকরিপ্রার্থীরা বুঝতে পেরেছেন।’

Justice Abhijit Ganguly News: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরল শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত মামলা
বিচারপতি সৌমেন সেনের মামলা ছাড়ার প্রসঙ্গ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, এর আগেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রসঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ। এদিন দুই বিচারপতির সংঘাতের বিষয়ে প্রথম মুখ খোলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি কারও নাম না করে বলেন, ‘আমি দুঃখিত-লজ্জিত।’ পাশাপাশি বিচারপতি সৌমেন সেনও এই ঘটনার প্রথম মুখ খোলেন মঙ্গলবারই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *