যদিও, আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরের। আক্রান্ত শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের বেশিরভাগ এদিন হাজির হলেও অনুপস্থিতও ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক এবং শিক্ষিকা। স্কুলে এদিন আসেন বারুইপুরের মহকুমাশাসক চিত্রদীপ সেন এবং সোনারপুর বিডিও শিঞ্জিনি সেনগুপ্ত বিদ্যালয়ে এলেন। আক্রান্ত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সোমবারের থেকে এদিন ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির হার বাড়লেও স্কুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী এদিন আসেননি। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্বেও এখনও অধরা প্রধান শিক্ষক সহ মূল অভিযুক্ত চারজন। তাঁদের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানার একাধিক টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশি প্রহরায় চলছে স্কুল। জয়েনপুর এলাকা থেকে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছন স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। ঘটনার পর থেকে কার্যত ‘পলাতক’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি এদিনও বিদ্যালয়ে আসেননি। বনহুগলী দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সদস্য আকবর আলি খান এবং অলোক নাড়ু দুজনেই এলাকা ছাড়া। এফআইআর-এ নাম থাকা আরেক অভিযুক্ত এবং স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য মনিজুর রহমানকেও খুঁজছে পুলিশ। এরা প্রত্যেকেই বাড়ি ছাড়া বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন আক্রান্ত এক শিক্ষিকা, তাঁর মোবাইল ফোন জমা করেন নরেন্দ্রপুর থানায়।
অন্যদিকে, স্কুলের এই তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বারুইপুরের পুলিশ সুপার জানান, নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম শেখ আব্দুল সুফিয়ান, শোভন আলী সরদার। 4 টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। একজন DSP পদমর্যাদার আধিকারিকের পর্যবেক্ষণে তদন্ত হচ্ছে। সদর দপ্তরের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।