West Bengal News : এই দোকানের চপ খেয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী! নবান্ন থেকে মহাকরণ, সর্বত্রই তুঙ্গে চাহিদা – east midnapore panskura jagannath dandapath chop shop famous in all over the west bengal


রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন সময় রোজগারের উপায় হিসেব চপ বিক্রির পরামর্শ দিতে শোনা গিয়েছে। চপ বা ঘুগনি বিক্রি করে স্বনির্ভর হওয়ার কথা বলেছেন তিনি। আর তা নিয়ে তাঁকে পালটা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। তবে এই প্রতিবেদনে এমন এক চপের দোকানের কথা বলা হবে যেখানকার চপ খেয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

শীত, গ্রীষ্ম, বা বর্ষা বাঙালির তেলেভাজা ছাড়া চলে না। বর্তমান ‘হেলথ কনসাস’ যুগেও চপ ভালোবাসে না এমন মানুষ কার্যত খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বর্ষা কিংবা শীতের দিনে চপ সহযোগে সান্ধ্যকালীন টিফিন বাঙালির নস্টালজিয়া। আর সেই চপের ক্ষেত্রে যদি হয় পাঁশকুড়ার চপ, তাহলে তো আর কথাই নেই। স্বাদের জন্য বিখ্যাত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার চপ। রাজ্যের জেলায় জেলায় দেখা যায় পাঁশকুড়ার চপের নাম ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু রাজ্যে নয়, ভিন রাজ্যেও পাঁশকুড়া চপের কদর রয়েছে। কিন্তু জানেন কি, এর মধ্যেও পাঁশকুড়ার একটি দোকানের চপ মহাকরণ থেকে নবান্ন, সব জায়গাতেই সমাদৃত।

নতুন প্রজন্ম কাটলেটে মজে থাকলেও চপ নামক বাংলার এই খাদ্যবস্তুটি তাবড় ফাস্টফুডকে বলে বলে ১০ গোল দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। সারা বাংলা জুড়ে চপের দোকানের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর পাঁশকুড়ায় তো কথাই নেই। পাঁশকুড়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গুমাই কালীমন্দির সামনেই জগন্নাথ দণ্ডপাটের বিখ্যাত চপের দোকান। পাঁশকুড়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জগন্নাথ দণ্ডপাট পাঁশকুড়া-হলদিয়া রাজ্য সড়কের পাশেই প্রতিদিন বিকেল পাঁচটার পর চপের দোকান খোলেন। পায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে তিনি এই চপের দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন সন্ধ্যা পাঁচটা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত চলে দোকান। গড়ে রোজ ৬০০ থেকে ৭০০ পিস চপ ভাজা হয় দোকানে। সারা পাঁশকুড়ায় জগন্নাথের চপ অত্যন্ত জনপ্রীয়। শুধু স্থানীয়রাই নন, এই চপের স্বাদ গ্রহণ করেছেন নেতা মন্ত্রী-সহ উচ্চ পর্যায়ের সরকারি আধিকারিকরা। এমনকী তাঁর চপ পৌঁছে গিয়েছে মহাকরণ বা নবান্নতেও।

এই বিষয়ে জগন্নাথ দণ্ডপাট জানান, বাড়ির পাশে এক ব্যক্তি রাইটার্সের চাকরি করতেন, তিনি একবার অফিসে চপ নিয়ে যান। তারপর থেকে প্রায় প্রায়শই চপ যেত রাইটার্সে। বর্তমানে সেই ব্যক্তি নবান্নের কর্মরত। সেখানেও মাঝেমাঝে চপ নিয়ে যান। পাঁশকুড়ার বহু চপ বিক্রেতা তাঁর কাছে আসেন বিভিন্ন ধরণের চপের রেসিপি জানার জন্য। জগন্নাতের দাবি, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী, সকলেই খেয়েছেন তাঁর চপ। তবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে দাম কিছুটা বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু চপের স্বাদের সঙ্গে কোনওদিন আপস করেননি জগন্নাথ। বাস রাস্তার পাশে ত্রিপলের ছাউনির নিচে কাঠের আগুনে গরম গরম ভাজা চপ খেতে প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলা বহু মানুষ ভিড় করেন।

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই নানা ধরনের খাওয়ারের ভিডিও সামনে আসে। খাবারের ভিডিয়ো করে অনেকেই সেলিব্রিটি হয়েছেন। কলকাতা হোক পূর্ব মেদিনীপুর, নানা সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করে সুনাম করে চলেছে। অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি পাঁশকুড়ার আলুর চপ আজও খাদ্য প্রিয় বাঙালির কাছে জনপ্রিয়।।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *