CAA In West Bengal : বাদ যাক উত্তরবঙ্গ, CAA নিয়ে বেসুরো বিষ্ণুপ্রসাদ – kurseong bjp mla bishnu prasad sharma react on caa act


এই সময়: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, সিএএ নিয়ে রাজনীতির পারদও তত চড়তে শুরু করেছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দু’জনেই ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) লাগু হওয়ার দাবি করেছেন। সেইমতো জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি বর্তমান সংসদের সর্বশেষ অধিবেশনেই সিএএ-র বিধি চূড়ান্ত হয়ে যাবে!

ইতিমধ্যেই এই আইনের বিরোধিতা করে সুর চড়াতে শুরু করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে কার্শিয়াং-এর বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা মঙ্গলবার সিএএ-র বিরোধিতা করে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। যা গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে। চিঠিতে শর্মা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদার মতো উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে সিএএ-র আওতার বাইরে রাখার দাবি জানিয়েছেন শাহের কাছে।

সূত্রের খবর, আজ, বুধবার থেকে সংসদের যে অধিবেশন শুরু হচ্ছে, সেখানেই সিএএ-র বিধিতে সিলমোহর দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। সংসদীয় ছাড়পত্র পেলেই এই আইনের ‘গেজেট নোটিফিকেশন’ জারি করবে কেন্দ্র। তাই এখন থেকেই বাংলার বিজেপি নেতারা সিএএ-র সমর্থনে প্রচার করেছেন। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার কোচবিহারে পাল্টা সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, ‘নতুন করে ক্যা ক্যা চিৎকার করছে। এটা ভোটের রাজনীতি করার জন্য। আপনারা সবাই নাগরিক।’

মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি থেকেও একইভাবে তিনি সিএএ-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নাগরিক না হলে মতুয়ারা ভোট দেয় কীভাবে! নাগরিক না হলে রেশন পান কী ভাবে আপনার! মনে রাখবেন, আমরা সবাই নাগরিক।’

কার্যত মমতার মতোই চড়া সুরে এদিন সিএএ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে পাহাড়ের বিজেপি নেতা বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মাকে। অতীতে তাঁকে একাধিকবার দলের ঘোষিত নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে তিনি দিল্লিতে দরবার পর্যন্ত করেছিলেন। এ বার তিনি সরব সিএএ নিয়ে। বিষ্ণুপ্রসাদের যুক্তি, প্রতিবেশী দেশের উদ্বাস্তুরা ভারতের নাগরিকত্ব পেলে রাজবংশী, লেপচা, গোর্খার মতো পাহাড়ের জনজাতিরা সংখ্যালঘু হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘আমি চাইছি, সিএএ-তে সংশোধন করা হোক। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে এই আইনের আওতা থেকে বাইরে রাখা হোক। এ বিষয়ে আমি অমিত শাহকে চিঠি লিখেছি।’ যদিও দলেরই এক বিধায়ক এভাবে বেসুরো হওয়া নিয়ে এদিন কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি গেরুয়া শিবির।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *