প্রসঙ্গত, গত বছরের বছর জুলাই মাসে চোর অপবাদে মালদার বামনগোলার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়া সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। প্রথমে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় বামনগোলা থানার আইসি সহ চার পুলিশ আধিকারিককে কর্তব্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপরই ওই দুই মহিলার হয়ে মালদা জেলা আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত ও মালদা জেলা আদালতের আরও এক আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে মামলা দায়ের করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে।
এই বিষয়ে উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘গত ১৮.৭.২৩ তারিখে পাকুয়াহাটে ২ মহিলাকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে যে নারকীয় পরিস্থিতিতির সৃষ্টি হয়, তা নিয়ে রাজ্য শুধু নয় গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী সময় ৪ জন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জাতীয় মাবাধিকার কমিশনে আমরা যে অভিযোগ করেছিলাম, তার ভিত্তিতে গতকাল সম্পূর্ণ বেঞ্চ বসে রাজ্য সরকারকে এই দুই জন নিগৃহিতা যাতে ৩ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পান, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ উজ্জ্বল দত্ত আরও জানান, ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণ দিয়ে তার রিপোর্ট মানবাধিকার কমিশনে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে এক নিগৃহীতা মহিলা বলেন, ‘আমরা পাকুয়াহাট গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের চোর বলে মারধর করে। আমাদের উলঙ্গ করে দেয়। বিনা অপরাধে জেল খেটেছি আমরা। আমরা চুরি করিনি। লজ্জায় বেরোতে পারি না।কমিশন রায় দিয়েছে, এখনও টাকা পাইনি। আমরা টাকা চাইছি।’