মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরপর দু’টি আসনে কংগ্রেস জিতেছে। বারবার জিতেছে। আপনাদের জন্য কী করেছে? বরকতদা যখন ছিলেন এখটা গৌরভবন করেছিলেন। সেই গৌরভবনেরও আজকে গুরুতর অবস্থা। আর বরকতদার মৃত্যুর পর থেকে, তাঁর পরিবারের লেকারে ভোটে দাঁড়ান আমার আপত্তি নেই। তৃণমূল কংগ্রেসেও লড়বে, ওরা সিপিএম-এর সঙ্গে লড়বে, বিজেপির হাত শক্তিশালী করার জন্য। আমারা বিজেপিকে টাইট দিতে গেলে, রাজনৈতিক ফাইট আমরাই করতে পারব, আর কেউ করতে পারবে না।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, ‘কখন কী বলছেন আমরা জানি না, এর কী প্রতিক্রিয়া দেব? উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তো এটাও বলেছেন যে আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। উনি আলোচনা করে জানলেন কী করে?’
এদিন ফের একবার ‘একলা চলা’র ডাক দেন মমতা। তিনি বলেন, বিজেপির সঙ্গে আমাদের যে লড়াই সেটা চলবে, আমরা একাই লড়ব। বিজেপিকে কেউ যদি ভরতে পরাস্ত করতে পারে, সে তৃণমূল কংগ্রেস, আর কেউ পারবে না।’ প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে একা লড়াই করার কথা এর আগেও শোনা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মালদায় এই মন্তব্য করছেন, ঠিক সেই সময়ই জেলায় ভারত জোড়ো কর্মসূচি ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। এর আদিন রাহুল গান্ধীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। তাতে ভেঙে যায় রাহুলের গাড়ির কাচ। এই প্রসঙ্গ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, রাহুলের যাত্রা পথে তাঁর ছবি দেওয়া পোস্টার, ফেস্টুনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য দলের পতাকা। এদিন বিহারের কাটিহার থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরে ঢোকে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা। বাংলা – বিহার সীমানার কাছে রাহুলের গাড়ির পিছনের কাচ ভেঙে যায়। ভিড়ের জন্য মঞ্চে নয়, বাসের মাথায় চেপে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় রাহুলকে।