লোকসভা নির্বাচনের আগে পুলিশ এবং প্রশাসনিক স্তরে এর আগেও রদবদল করা হয়েছিল। এবার IPS জাভেদ শামিমকে আইজি (আইনশৃঙ্খলা) থেকে বদলি করা হল আইবি-তে। অন্যদিকে, মনোজ কুমার ভার্মাকে আইবি থেকে বদলি করা হয়েছে আইজি (আইনশৃঙ্খলা) পদে। কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর কমিশনারেটের ক্ষেত্রেও একাধিক পদস্থ অফিসারের বদলি হয়েছে। বারাসত, বনগাঁ, কালিম্পং, বসিরহাট সহ বেশ কয়েকটি পুলিশ জেলার সুপারকে বদল করা হয়েছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের ডিজি সিদ্ধি নাথ গুপ্তকেও অন্যত্র বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বদলানো হয়েছে বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসককেও। বীরভূমের জেলাশাসক পদে ছিলেন বিধান চন্দ্র রায়। তাঁকে পাঠানো হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝিকে পাঠানো হল পূর্ব বর্ধমানে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পদেও বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকদেরও বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও একাধিক জেলার বিডিও বদল করা হয়েছে।
বদলির নির্দেশ
উল্লেখ্য, দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন পদে বদলি করা হচ্ছে। নবান্ন কর্তাদের একাংশের কথায়, এই বদলি একেবারেই রুচিন বদলি। আমলাদের বদলি যে হবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সার্ভিস রুল মোতাবেকই এই বদলি হয়ে যাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হোম ডিস্ট্রিক্টে পোস্টিং দেওয়া হয় না। ভোটের আগে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা চলে যায়।
শেষ চার বছরের মধ্যে তিন বছর যদি কোনও আধিকারিক এক জেলায় থাকেন তাঁকে ভোটের কাজে যুক্ত করা যায় না। এক্ষেত্রে সময়সীমা হিসেবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন ধরতে হবে। পাশাপাশি কোনও আধিকারিকের পদোন্নতির পরেও যদি তিনি সংশ্লিষ্ট জেলাতেই থাকেন সেক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হয়ে থাকে।
ফের বদলির নির্দেশ
মূলত মহকুমা শাসক, বিডিও, ডিআইজি, পুলিশ সুপার, জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ক্ষেত্রে এডিজি, ডেপুটি পুলিশ সুপার, এসডিপিও-দের ক্ষেত্রে সাধারণত বদলি হয়। এডিজি থেকে শুরু করে সাব ইনসপেক্টর পদের আধিকারিকরা সাধারণত ভোটের কাজে যুক্ত থাকেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বদলি একেবারেই রুটিনের মধ্যে পড়ে বলে মতামত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এই বদলি নিয়ম প্রযোজ্য হয় না যেমন রাজ্য সরকারের সচিবালয়ের আধিকারিক।