সেখানে দাঁড়িয়ে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালো ছিল। যদি কেউ খারাপ ছিল তা হল সিপিএম। ওরা এখন সবথেকে বড় দালাল হয়েছে। আমি তো মালদায় দুটো সিট দিতে চেয়েছিলাম। একটাও এমএলএ নেই। ওরা বলল হবে না। আমি বললাম কটা চাই ৪২। ওরা ৪২টাই হারবে আর বিজেপি জিতবে। আর বাংলায় হিংসা করবে। তা আমি হতে দেব না। আমি একা লড়তে পারি।’
এই প্রথম নয়, রামমন্দির উদ্বোধনের দিন সংহতি মিছিল থেকেও ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে বামেদের আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জোটের নাম তিনি দিলেও বৈঠকে যোগ্য সম্মান পান না, এমনটাই দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কারণে তিনি দুষেছিলেন বামেদেরই।
বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই পালটা আক্রমণ শানালেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, ‘তিনি অবান্তর কথা বলেই থাকেন। এবার তো বলবে নাগপুরের নির্দেশে নয়, বামেদের নির্দেশে তিনি কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস গড়েছিলেন। আর কতদিন সিপিএম সিপিএম বলে চালাবেন। সিপিএম অপ্রাসঙ্গিক, কোনও এমএলএ নেই, এসব কথা বলেন। আবার সেই সিপিএম-এর এমন তেজ হয়ে গেল যে সর্বভারতীয় জোট তার জন্য বিপদে পড়ে গেল!’
সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছেন। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রকারান্তে বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। ভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সাহায্য করার জন্য ভোট করতে গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গেও তিনিই বিজেপিকে টেনে এনেছেন। বিজেপি ওদের মিত্র কিনা তিনি বলতে পারবেন। বিজেপি ওর বহুদিনের সঙ্গী। বিজেপি বিরোধী জোটে কী ভাবে তালগোল পাকাতে হয় তা তিনি বিজেপির হয়ে ভালোই করেন।
অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের ক্ষেত্রে সুর নরম করলেও অধীর রঞ্জন চৌধুরী কিন্তু রাজ্য শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন একাধিকবার। সবমিলিয়ে বঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ এই মুহূর্তে বিশ বাঁও জলে।