Madhyamik Exam : পরীক্ষার্থী ২৩১, আঁটোসাঁটো পুলিশি নিরাপত্তা! সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনাই বড় চ্যালেঞ্জ নরেন্দ্রপুরের স্কুলে – madhyamik exam conducting successfully is big challenge in narendrapur school by police


পরীক্ষা দেবেন ২৩১ জন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য স্কুল জুড়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চূড়ান্ত ব্যবস্থা তো রয়েছেই। বাড়তি নজরদারি রয়েছে পুলিশেরও। নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরের স্কুলে চারদিন আগেই যে তাণ্ডবলীলা চলেছে, তারপর কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। তাই, পড়ুয়াদের নিরাপত্তার বিষয়েও কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে বারুইপুর মহাশাককের নির্দেশে সিল করা হয় বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষকের অফিস। সিল করার আগে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রধান শিক্ষকের অফিস থেকে নেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ নথি। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর বিডিও প্রতিনিধি, নরেন্দ্রপুর থানার প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধি।

আগামীকাল থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা তার আগে বিদ্যালয়ে চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। জানা গিয়েছে, এবার মোট পাঁচটি স্কুলের মোট ২৩১ জন পরীক্ষার্থী এখানে পরীক্ষা দেবেন। যদিও, মাধ্যমিকের আগেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে এখনও পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক সহ একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার নরেন্দ্রপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল তারপরেও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি মূল অভিযুক্তরা। এফআইআর-এ নাম থাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ, বনহুগলী দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সদস্য আকবর আলি খান ও অলোক নাডু এবং স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য মনিজুর রহমান এখনও পর্যন্ত বেপাত্তা। অভিযুক্তদের সন্ধানে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালালেও এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও হদিশ পায়নি। ইতিমধ্যে আক্রান্ত শিক্ষকদের বয়ান নিয়েছে পুলিশ।

Narendrapur School : পড়ুয়া হাতেগোনা! পুলিশি পাহারায় এলেন শিক্ষকরা, নরেন্দ্রপুরের স্কুল যেন আতঙ্কপুরী
উল্লেখ্য, ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সেই ঘৃনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বহিরাগত লোকজন স্কুলে গিয়ে হামলা চালায়। স্কুলের শিক্ষকদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় গোটা স্কুল জুড়ে। গত ২৭ জানুয়ারির এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্কুলের পড়ুয়ারা। এখন বাইরের স্কুলের পড়ুয়ারা এসে যাতে সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা দিতে পারেন, সেটাই এখন বড় পরীক্ষা পুলিশ প্রশাসনের। আগামীকাল থেকে পরীক্ষার দিনগুলিতে যাতে কোনওরকম অশান্তির ঘটনা না ঘটে, সে দিকেই বাড়তি নজর দিচ্ছে পুলিশ। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশি প্রহরা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *